বাংলাহান্ট ডেস্ক : সস্তায় পুষ্টিকর খাবার হল ডিম (Egg)। চিকিৎসকেরা ছোট থেকে বড় সকলকেই প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খেতে বলেন। এই ডিম যেমন সস্তা, তেমনই পুষ্টিকর। এই ডিমের উপকারিতা সম্বন্ধে এখনো বিভিন্ন গবেষকরা গবেষণা করে চলেছেন। তবে এখনো আমরা অনেকেই ভাবি যে সেদ্ধ ডিম নাকি হাফ বয়েল, কোনটা আমাদের জন্য বেশি উপকারী?
পুষ্টিবিদরা বলছেন ডিম নিঃসন্দেহে খুবই উপকারী। তবে কোন উপায়ে তাকে রান্না করে খাচ্ছেন তার উপর এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে। মোটামুটি ৫০ গ্রাম মতো হয় একটি ডিম। একটি ডিমে মোটামুটি ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ওমেগা ৩, জিঙ্ক, সোডিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি পুষ্টিগুণ ডিমে থাকে।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন প্রত্যেকেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকের মনে ধারণা আছে যে হাফ বয়েল ডিমে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। ফুল বয়েল ডিমে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে যেতে পারে হাফ বয়েল ডিমে। এই ব্যাকটেরিয়ার ফলে বমি, ডায়রিয়ার মতো অসুখ হতে পারে।
আবার অনেকে আছেন যারা কাঁচা ডিম খান। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই জিনিসটি সম্পূর্ণ ভুল। এভিডিন নামক একটি প্রোটিন থাকে কাঁচা ডিমে। এই প্রোটিন শরীরের বায়োটিনের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ডিম সেদ্ধ ছাড়াও ডিম ভেজে খাওয়া যেতে পারে। ডিমকে ননস্টিক প্যানে অল্প তেলে ভিজিয়ে নিতে হবে। এই ডিম থেকে পোচ তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে।
অনেকে রয়েছেন যারা ভাবেন যে ডিমের কুসুম খেলে শরীরে ফ্যাট বৃদ্ধি পেতে পারে। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানাছেন, চিন্তা ছাড়াই ডিমের কুসুম খান। ডিমের কুসুম শরীরের পর্যাপ্ত ফ্যাট তৈরি করে। তবে যাদের কোলেস্টেরল আছে তারা ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলুন।