বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আজ আইপিএলে (IPL 2023) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। এর আগে চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে দুই দল যখন একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল তখন তিলক ভার্মার দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও বাজেভাবে হারতে হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। সেদিন বিরাট কোহলি এবং বর্তমানে আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ দু প্লেসিস রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের বোলারদের। আজ আরসিবির বোলারদের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের হয়ে সেই একই কাজটা করে দলকে জয় এনে দিবেন সূর্যকুমার যাদব এবং নেহাল ওয়াদেরা। প্রাথমিক হারগুলির ধাক্কা কাটিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্টস টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রোহিত শর্মারা।
আজ নিজেদের ঘরের মাঠে টসেটিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা এবং প্রথম ওভারে কোহলিকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দিয়ে তার সেই সিদ্ধান্তকে কিছুটা সঠিক প্রমাণ করেছিলেন বেহেরনডর্ফ। বাঁ-হাতি পেসারের বিরুদ্ধে নিজের দুর্বলতা যে পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি কোহলি, তা আজ আরও একবার প্রমাণিত হলো।
কিন্তু কোহলি এবং অনুজ রাওয়াতকে দ্রুত খোয়ালেও আরসিবি ম্যাচে ফেরে দু প্লেসিস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দুজনেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে নিজেদের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। ম্যাক্সওয়েল ৩৩ বলে ৬৮ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হন। শূন্য রানে আরসিবি অধিনায়কের ক্যাচ ফেলেছিলেন নেহাল। সেই জীবনদানকে কাজে লাগিয়ে। ৪১ বলে ৬৫ রানের একটি প্রশংসনীয় ইনিংস খেলেন অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক। কিন্তু তারা আউট হওয়ার পর রানের গতি কমে যায়। ২০১৮ বলে ৩০ রানের ইনিংসটি কার্যকারী ছিল, কিন্তু ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ হয় আরসিবি।
মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট বেহেরনডর্ফ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্চারের বদলে দলে আসা ক্রিস জর্ডন, অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন এবং স্পিনার কুমার কার্তিকেয়। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন ঈশান কিষান। কিন্তু পঞ্চম ওভারের দুই বলে ওপেনার দুজনকেই ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দিয়ে আরসিবিকে ম্যাচের ফেরত আনেন ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্তু এরপর থেকে আর কোন কিছুই আরসিবির পক্ষে যায়নি কারণ ব্যাটিং শুরু করেছিলেন ফর্মে থাকা নেহাল ও সূর্যকুমার।
দুজনেই অত্যন্ত সামান্য সময় নেন সেট হওয়ার জন্য। আর সেট হওয়ার পর তারা যা করেছেন সেটা যে কোনও দলের জন্য অত্যন্ত চিন্তার। তাদের মধ্যে ১৪০ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। খড় কুটোর মতো প্রতিপক্ষের যে কোনও বোলারদের উড়িয়ে দিয়েছেন সূর্যকুমার। নেহাল যথেষ্টই আগ্রাসী ছিলেন কিন্তু সূর্যকুমারের তুলনায় তাকে কিছুটা ফিকে রেখেছে। অনেকেই মনে করেছিলেন যে ম্যাচের লড়াই গড়াবে শেষ ওভার অবধি কিন্তু আর গোটা পঞ্চাশে গ্রাম যখন বাকি ছিল তখন থেকেই সূর্য কুমার যাদব আর কোনও ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিটি ডেলিভারিকেই সীমানা পার করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
শেষ পর্যন্ত চার ওভারেরও বেশি সময় যখন আর যখন ৮ রান বাকি তখন পরপর দুই বলে সূর্যকুমার এবং টিম ডেভিডকে ফেরান বিজয় বিশাখ। কিন্তু ততক্ষণে অত্যন্ত দেরি হয়ে গিয়েছে। অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন স্কাই। আজ তিনি আইপিএলে নিজের ৩০০০ রান এবং ১০০ টি ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ১৭ তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতরান এবং দলের জয় এনে নেন নেহাল। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর জন্য আরও বেশি যেন কার্যকরী হয়ে উঠেছেন তিনি অল্প কিছুদিনেই।