বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে অসম্ভব বলতে আর কিছুই নেই। এখন যেন সবকিছুই সম্ভব। মুঠোফোনের জেরে যেমন জেনে যাওয়া যায় দেশ-বিদেশের নানান খবর ঠিক তেমনি চারিদিকে একটু ভালো করে চোখ মেলে তাকালেই দেখা যাবে নানান রকম দৃশ্য। সম্প্রতি এমনই একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা হল, রবীন্দ্রনাথের গান নাকি লিখেছেন কবি শ্রীজাত (Srijato)।
অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া তেমনটাই বলছে। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি প্রথম তুলে ধরেছিলেন টলিউডের পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা। দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন কবি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি পোস্ট। যেখানে দেখা গেছে, ‘সমারোহে এসো হে পরমতর’ গানটির কথা এবং সুর নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। এই পোষ্ট নিজের ভেরিফাইড সোশ্যাল মিডিয়া তুলে ধরেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। লিখেছেন, ‘আশা করছি এই পোস্ট দেখার পর অনেকটাই বেশি ডিমান্ড করবেন শ্রীজাত’। এখানেই থেমে থাকেননি পরিচালক। সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘অবিলম্বে একটি পার্টির ব্যবস্থা করো’।
দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন শ্রীজাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘ এখন কথা হচ্ছে, এই পঁচিশে বৈশাখের গরম বাজারে আমার লেখা একখানা গান রবীন্দ্রনাথের নামে ঘুরছে। সে ভাল। আত্মবিশ্বাস আমার চিরকালই ছিল, জীবনে বড় রকমের কিছু করব, তবে এত তাড়াতাড়ি সেটা ঘটবে ভাবিনি। রবীন্দ্রনাথের মতো গান লিখতে কে না চায়, আমিও চেয়েছি। এমনকী এক চাকরির ইন্টারভিউতে ‘জীবনে কী করতে চান?’ প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, ‘রবীন্দ্রনাথের মতো গান লিখতে। সে-চাকরি আমার হয়নি, বলাই বাহুল্য। তবে রবীন্দ্রনাথের মতো গান অ্যাদ্দিনে লিখতে পেরেছি।
তবে এই ঘটনা যে কেবলমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতেই থেমে গেছে এমনটাও কিন্তু নয়। শোনা যাচ্ছে, রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতার একটি স্কুলে পরিবেশিত হয়েছে এই গান। সে বিষয়ে কবি লেখেন, ‘এই গানটি আমরা তৈরি করেছিলাম আমাদের বন্ধু সৃজিতের একটি ছবির জন্য, যার নাম ছিল ‘এক যে ছিল রাজা’। সে গানের ব্রিফ ছিল এইরকম, বিংশ শতকের গোড়ার দিকের পটভূমি, সে-সময়ে রবীন্দ্রনাথ জোরকদমে গান বাঁধছেন, সেসব গান মুখে মুখে ফিরছে। তেমনই এক সময়ে যদি আর কেউ বাংলা গান বাঁধতেন, তবে যেমন শোনাতে পারত, তেমনই যেন শোনায়। সেই মাফিক আমি আর ইন্দ্রদীপ বানিয়েছিলাম এই গান, প্রথম পেশকারেই যা পাস হয়েছিল। তখনও ভাবিনি, কালে কালে এই গান ক্রমে ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত’ হয়ে উঠবে’।