বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘মেয়েবেলা’র (Meyebela) গল্প পিছিয়ে পড়া, নোংরামো দেখানো হচ্ছে, এমনি অভিযোগ তুলে স্টার জলসার সিরিয়াল থেকে সরে এসেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। তাঁর চরিত্র বিথীকা মিত্র ওরফে বিথী মাসিকে যেভাবে দেখানো হচ্ছিল, যেভাবে শাশুড়ি হয়ে ছেলের বৌয়ের উপরে অত্যাচার করতে হচ্ছিল তাতে বীতশ্রদ্ধ হয়েই সিরিয়াল ছেড়ে দেন তিনি। এমনকি রূপা এও বলেছিলেন, তিনি মানসিক আঘাত পেয়েছেন।
এতদিন শোনা যাচ্ছিল একদিকের কথা। এবার প্রকাশ্যে এল দু তরফের বক্তব্যই। মেয়েবেলার চিত্রনাট্যকার এক বড়সড় পোস্টে স্পষ্ট করেছেন সবটা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, সেটে নাকি ‘তুঘলকি আচরণ’ করতেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মুড সুইংয়ের সাক্ষী একাধিক বার থেকেছে মেয়েবেলা টিম। কোনোদিন শুটিং করতে ইচ্ছা করছে না, অনেক সিন ভাল লাগছে না বলে শুট ছেড়ে বেরিয়ে যেতেন অভিনেত্রী।
একদিন দুপুরে নাকি তিনি বলেন, তাঁর আর সেদিন শুট করতে ইচ্ছা করছে না। এই বলেই বাড়ি চলে যান রূপা। তাঁর এই খামখেয়ালিপনায় বাকিদের কী হাল হবে, সিরিয়াল টেলিকাস্ট হবে কীকরে কিছুই তিনি ভেবে দেখেননি বলে কটাক্ষ চিত্রনাট্যকারের। সিরিয়ালের শুট নাকি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রূপার জন্য কারোর ছোট শিশু দুধ না খেয়ে থাকবে এটা মেনে নেওয়া যায় না, স্পষ্ট কথা চিত্রনাট্যকারের।
সেই সঙ্গে অভিনেত্রীর অভিযোগের উত্তরে তিনি বলেন, সিরিয়ালের শুরুর দিক থেকেই মৌয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে আসছে বিথী। এমনকি প্রথম দিকেই একবার প্রায় মৌকে চড় মারতে গিয়েছিল বিথী। তখন তো কিছু বলেননি রূপা। উলটে চিত্রনাট্যকার জানান, সিরিয়ালে মৌকে নিয়ে বাথরুম পরিস্কার করানোর দৃশ্যটা নাকি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ‘দ্রৌপদী’ই দিয়েছিলেন। তাহলে এখন কেন তাঁর মনে হচ্ছে অসভ্যতা হচ্ছে?
পোস্টে চিত্রনাট্যকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্র্যান্ডের কথা মাথায় রেখে টিমের বাকিরা শুধু নিজ চরিত্রের ব্যাপারে শুনলেও অভিনেত্রীকে পড়তে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই তিনি রাজি হয়েছিলেন। মেয়েবেলা নিজের মূল গল্প থেকে সরেননি, সাফ কথা চিত্রনাট্যকারের।
তিনি বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি বিথী খুব পজিটিভ একজন মানুষ। অন্যায়ের প্রতিবাদও তিনিই আগে করেন। শুধু মৌয়ের ক্ষেত্রেই বিথী অন্য মানুষ। মেয়েবেলার মূল কথা, মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। মৌয়ের হাত ধরেই বিথীর উত্তরণ ঘটবে, নিজের ভুল বুঝতে পারবে। এটাই মূল গল্প। বাস্তব জীবনের গল্পই দেখানো হচ্ছে মেয়েবেলাতে, বক্তব্য চিত্রনাট্যকারের।