বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মাসে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে সিবিআই (CBI) এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদবাদের বড়ঞার তৃণমৃল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। মঙ্গলবার ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ যাত্রার পর মুর্শিদাবাদের কুলি থেকে অনুব্রত গড় বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নবজোয়ার যাত্রায় কোনো হোটেল, বা দলীয় কর্মীর বাড়ির বদলে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোমবার সেই মতো কুলির তাঁবুতেই রাত্রিবাস করেন অভিষেক।
অন্যদিকে, কুলির অদূরেই বাস তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। তিনি বর্তমানে জেলে থাকলেও বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। অভিষেক কুলিতে আছেন শুনেই মঙ্গলবার তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কুলির তাঁবুতে হাজির হন বিধায়ক পত্নী টগর সাহা। সকাল ১০টার কিছু পর সেখানে পৌঁছে যান বিধায়ক পত্নী। সকাল গড়িয়ে বিকেল ৩টে। টানা পাঁচ ঘণ্টা বসে থেকেও নেতার দেখা পাননি টগর।
সূত্রের খবর, অভিষেক নাকি নিজেই তার সাথে দেখা করার জন্য সেরকম কোনো আগ্রহ দেখাননি। তাই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়েও খালি হাতেই বাড়ি ফিরে যান জীবনবাবুর স্ত্রী। ঠিক কেন টগরদেবী তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডোর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেই উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি। বিধায়ক পত্নী নিজেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জীবন সাহার স্ত্রী কেন দেখা করতে চেয়েছিলেন, তা বলা মুশকিল। আমরা মনে হয় উনি জল মাপতে এসেছিলেন। স্বামীর গ্রেফতারির পর দল তাঁদের পাশে রয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য এসে থাকতে পারেন। তবে এভাবে আইনি বিষয় চলাকালীন এই কাজ করা উচিত হয়নি।’
প্রসঙ্গত, জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারির পর থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তবে বিধায়ক বার বার দাবি করে গিয়েছেন, যে তিনি নির্দোষ, দল তার পাশে আছে। অন্যদিকে, দুদিন আগেই বিধায়কের পুকুরে ফেলা দেওয়া জোড়া ফোনের তথ্য উদ্ধার করেছে সিবিআই। এবার পরবর্তীতে এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়।