বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) মানুষ। তবে আজ থেকেই বদলাবে পরিস্থিতি। এবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। কলকাতার (Kolkata) আকাশ শুক্রবার বেলা কিছুটা বাড়ার পর থেকেই মেঘলা। মেঘের আস্তরণে গরমও কিছুটা কাবু হয়েছে। তবে একটা ভ্যাপসা অস্বস্তি রয়েছে।
এক নজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩৫.২°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২৮.৪° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৭৫%
বাতাস : ১১ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৭২%
কলকাতার আবহাওয়া : আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক ভাবে মেঘলা থাকবে। দুপুর কিংবা বিকেলের দিকে কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া : শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ মে রবিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুতসহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
সোমবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বাকি জেলাগুলিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবারেও উত্তরবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস। আপাতত দিন দুয়েক তাপমাত্রা পরিবর্তন না হলেও, তারপরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ মে রবিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। হাওড়া, হুগলি নদিয়ায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
সোমবার সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
‘মোকা’র খবর : আবহবিদরা বলছেন, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোকা। অনুমান ঠিকঠাক হলে এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এরপর ১৪ মে দুপুরের দিকে সিটওয়ে (মিয়ানমার) এর কাছাকাছি কক্সবাজার (বাংলাদেশ) এবং কিউকপিউ (মায়ানমার) এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে ।