বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) বহুদিন জেলবন্দি হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। যদিও বর্তমানে দল থেকে বিতাড়িত তিনি। শিক্ষক দুর্নীতির তদন্ত জট এগোচ্ছে ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে কুন্তলের নামে। আর অভিযুক্ত সেই কুন্তল ঘোষের মুখেই কিনা উঠে এল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রশংসা। যা নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তলকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে ঢোকার মুখে গাড়ি থেকে নামার সময় কুন্তলকে বরাবরের মতো চারিদিক থেকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। আর এবারেও তাদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন অভিযুক্ত। ‘‘অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে আপনি কী বলবেন?’’ সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে জানেন কী বললেন কুন্তল?
প্রশ্ন শুনে দাঁড়িয়ে জেলবন্দি কুন্তল বলেন, ‘‘ভারতের যুবরাজের যাত্রায় জনজোয়ার।’’ আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিষেকের প্রশংসা করে এই একটি বাক্যই ব্যয় করেন কুন্তল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের যুবরাজ বলে সম্বোধন করেন তৃণমূলের অনেকেই। তবে জেলবন্দি কুন্তলের মুখে ‘ভারতের যুবরাজের’ তকমা পাওয়ার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে উঠে এসেছে অভিষেক প্রসঙ্গ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে কুন্তল বলেছিলেন, সিবিআই এবং ইডি তাঁকে জেরার মুখে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে। অভিযোগ জানিয়ে তিনি নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন। সেই চিঠি পৌঁছয় হেস্টিংস থানাতেও।
এরপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠে আসে অভিষেক প্রসঙ্গ। কুন্তলের সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুলি। বিচারপতির রায়ের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। এই সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে পরে অবশ্য বিচারের দায়িত্বে আশা বিচারপতি অমৃতা সিন্হা এই মামলায় অভিষেককে যুক্ত করার নির্দেশ দেন।