হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি ‘অনিশ্চিত’ আরও এক মন্ত্রীকন্যার, তালিকায় কোন কোন নেতারা?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Scam) মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশে ঘুম উড়েছে অনিয়ম করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এবার সেই তালিকাতেই জুড়লো ফের এক মন্ত্রিকন্যার নাম (Minister’s Daughter)।

মন্ত্রীকন্যা দিয়েই শুরু, আদালতের নির্দেশে ফের একবার চাকরি ‘অনিশ্চিত’ রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর মেয়ের। জানা গিয়েছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে ৩৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ শর্তসাপেক্ষে বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন, সে তালিকাতেই রয়েছেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে।

আর কী জানা যাচ্ছে? মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক মালবাজারের (Malbazar) তৃণমূল বিধায়ক, জলপাইগুড়ি জেলার রাঙামাটি চা বাগান এলাকার বাসিন্দা তিনি। ২০১৭ সালে তার মেয়ে বাড়ির অদূরেই রাঙামাটি চা বাগানের প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পান। বর্তমানে সেখানেই শিক্ষকতা করছেন। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রয়েছে তারও।

খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক বলেন, “মেয়ে দু-দু’বার রাজ্যের সিভিল সার্ভিসেস-এর লিখিত পরীক্ষা পাশ করে, মৌখিক পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তাই ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়। আর ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ নিয়ে আলাদা করে বলার নেই, সেটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়।”

justice ganguly simple

প্রসঙ্গত, মন্ত্রীকন্যা ছাড়াও তৃণমূলের এক নেতা, এক নেত্রী সহ একাধিক নেতার আত্মীয়দের নাম এসেছে সেই তালিকায়। এই যেমন, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথের পুত্রের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলেন্দু চৌধুরীর স্ত্রীর নাম রয়েছে, নাম রয়েছে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের শিবম বাসুনিয়ার। তার দুই আত্মীয়ার নামও রয়েছে। জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য গীতা দাসের নামও রয়েছে সেই তালিকায়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর