বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের স্বমহিমায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একদিকে কুড়মি সম্প্রদায়ের ক্ষোভের মুখে নাজেহাল সাংসদ, তবুও মঙ্গলবার সকালে আক্রমনাত্মক মেজাজেই ধরা দিলেন দিলীপবাবু। আর পাঁচটা দিনের মত এদিন সকালে ইকোপার্কে আসেন দিলীপ ঘোষ, আর সেখান থেকেই একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূল (Trinamool Congress) ও রাজ্য সরকারকে (State Government) তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন তিনি।
ঠিক কী কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) তিন বছরের ‘ডিপ্লোমা’ ডাক্তার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি নতুন মেডিক্যাল কাউন্সিল তৈরি করুন। উনি কোনও সিস্টেম, সংবিধান, দেশের আইন মানেন না। সব আলাদা করে করতে চান। তিনি সাত দিনে নার্স বানাবেন। তিন বছরে ডাক্তার বানাবেন। তারপর গ্রামে পাঠিয়ে গ্রামের লোককে কি উনি শহীদ করতে চান? তাদের জীবনের মূল্য নেই? উনি প্রশাসন চালাতে পারেন না। কিছুই সামলাতে পারেন না। ওনার যখন যা মনে আসে বলে দেন। ডাক্তার না পাওয়া গেলে তার সমাধান করুন। উনি মেডিক্যাল কাউন্সিল বা অন্য অথরিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসে বিকল্প রাস্তা বের করুন। পুরো সিস্টেম আপনি উল্টে দেবেন? এই অধিকার ওনাকে কে দিয়েছে?’
উত্তরবঙ্গের ব্যাগে শিশুর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক। বাচ্চাকে বাঁচানো গেলনা। মরদেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা গেলনা। এর আগে আমরা দেখেছি, মৃত মহিলার দেহ স্বামী ও সন্তান কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে নাকি সব হাসপাতালে অ্যামবুল্যান্স ফ্রি তে পাওয়া যায়।”
এরপরই এই ইস্যুতে প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন, “রাজ্য জুড়ে এই দূরাবস্থার কারণ কী? মুখ্যমন্ত্রী কি সব দিক সামলাতে পারছেন না?” অন্যদিকে, ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফ নেতা নওশাদকে তৃণমূল নেতা আরাবুলের হুমকির বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে একবার চামড়া তুলেছিল, যে উন্নয়ন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, তাকে একবার জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে, তিহাড়ে উনি কেমন আছেন? তাহলেই এই ডায়লগবাজির মানে সবাই বুঝতে পারবে”।
অন্যদিকে, মিডডে মিল নিয়ে রাজ্যের প্রশংসা করে কেন্দ্রের ২০০০ কোটির অনুদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ব্রাত্য বসু জানেন না, স্কুলগুলি কিভাবে চলছে। উনি গ্রামের লোককে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে ভালো হয়। মিড ডে মিল কিভাবে চলে? কেন মিড ডে মিলে সাপ বা টিকটিকি পাওয়া যায়? উনি খোঁজ নিয়েছেন কোনও দিন? শুধুমাত্র দিদিকে খুশি করার জন্য এসব কথা বলছেন।”