শেষ দেখে ছাড়ব! এগরা কাণ্ডে বাজি ব্যবসায়ীর ভাই বাদে গ্রামাবাসীকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা (Egra)। এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহতের সংখ্যাটা আরও বেশি। আজ এগরায় পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান তিনি। পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন নেতা। সেখান থেকেই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশকে।

গতকালই বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন এগরায় যাবেন তিনি। আর সেই মতই বুধবার সকালে এগরায় পৌঁছন তিনি। এলাকায় পৌঁছেই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ছাদ থেকে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন শুভেন্দু। এরপর কারখানার অদূরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই নেতাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে ভেঙে পড়েন স্থানীয়রা, নিহতদের পরিবারের লোকজন।

কিছুক্ষন পর সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। বলেন, “আমি NIA তদন্তের দাবিতে আদালতে গিয়েছি। এর শেষ দেখে ছাড়বো। পুলিশের চোখের সামনে দিনের পর দিন এই কাজ চলেছে। পুলিশ কিছু করেনি। পুলিশ তৃণমূলের দলদাস।” বিস্ফোরণের পর গতকালই আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই নিয়েও তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।

suvendu mamata egra

বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা ওই টাকা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের। তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে এই টাকা দেওয়া হলে আপনারা কেউ নেবে না।” পাশাপাশি খাদিকুলবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আমি থাকতে আপনারা কেউ অনাথ হবেন না। আগামী সোমবার বিজেপির তরফে গ্রামবাসীদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।”

তবে শুভেন্দুর সাফ কথা অভিযুক্ত বাজি ব্যবসায়ী ভানু বাগের পরিবার কোনও সহযোগিতা দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে শুভেন্দুকে পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তার তরফে যা করার তাই করেছে। NIA তদন্তে সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা দুদিন আগে বিজেপিতে গিয়ে বড় নেতা হয়ে গিয়েছেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন শুভেন্দু তাই এসব করে প্রচারে আসতে চাইছেন।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর