বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি মোকা ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছে মায়ানমার ও বাংলাদেশের একাংশ। তিন ঘন্টা ধরে এই ঘূর্ণিঝড় তান্ডব চালিয়েছে মায়ানমারে। কিন্তু আপনাদের বলে রাখি এখানেই শেষ নয়। আসতে চলেছে আরও একটি বড় ঘূর্ণিঝড়। এবার আরো শক্তি নিয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফ্যাবিয়েন (Fabien)। অনেক আবহাওয়াবিদদের মতে নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) গতিবেগ হার মানাবে মোকাকে।
ঘূর্ণিঝড়টি হয়তো এই মাসেই আছড়ে পড়তে পারে। মোকার প্রভাব কাটছে না কাটতেই ফের একবার আতঙ্কের দিন গুনছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের মধ্যে ফের একবার আতঙ্কের সঞ্চার হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফ্যাবিয়েনকে নিয়ে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ঘনীভূত হতে চলেছে একটি ঘূর্ণিঝড়। রবিবার এই ঘূর্ণাবর্তের স্যাটেলাইট ইমেজ গ্রহণ করেছে জুম আর্থ।
স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এই ঘূর্ণাবর্তটি প্রায় ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণাবর্তের গতিবেগ সোমবার পৌঁছেছে ১০০ কিলোমিটারে। অনুমান করা হচ্ছে মঙ্গলবার এই ঘূর্ণাবর্ত ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ সঞ্চয় করেছে। তবে আবহাওয়াবিদদের ধারণা দক্ষিণ ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়াতে এই ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব পড়তে পারে।
যদিও এই ঘূর্ণিঝড় ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে সেই বিষয়ে এখনো সঠিক কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত গত রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরে ল্যান্ড ফল হয় ঘূর্ণিঝড় মোকার। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ২১০ কিলোমিটারে পৌঁছেছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মায়ানমারের এই ছোট্ট বন্দরটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এই ঘূর্ণিঝড় এর দাপটে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির আরো আশঙ্কা করা হচ্ছে।