বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বিহারের (Bihar) মাটি থেকে মিলবে সোনা! ইতিমধ্যেই ওই গুপ্তধনের সন্ধানে সেখানে ড্রিলিং করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিহারের বাঙ্কার কাটোরিয়া ব্লকের গ্রামে মাটির নিচে সোনার মজুদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায়, সোনার সন্ধানে খনন করছে ভারত সরকারের দল। এদিকে, ওই খননের ফলে উজ্জ্বল পাথর পাওয়ার পর প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই ভাগলপুরে কয়লার দু’টি বড় ভান্ডারের সন্ধান পাওয়ার পর এখন বাঙ্কায় বিপুল পরিমাণ সোনার মজুদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভূতাত্বিকদের দল প্রতিনিয়ত এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওইসব গ্রামে মাটির নিচে সোনার ভান্ডার রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে প্রায় ১০০ ফুট খনন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মোট ৬৫০ ফুট পর্যন্ত খনন করা হবে।
খননের ফলে মিলেছে উজ্জ্বল পাথর: এদিকে, খননের ফলে বের হওয়া পাথর ও মাটি ল্যাব টেস্টের জন্য জমা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা দলগুলি কয়েক মাস ধরে অবিরাম এই বিষয়ে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কাটোরিয়া ব্লকের গ্রামগুলিতে প্রচুর সোনার মজুদ পাওয়া যাবে বলে তারা নিশ্চিত। জানা গিয়েছে, খননকালে বের হওয়া পাথরগুলির ঔজ্জ্বলতাও আলাদা ধরণের।
এমতাবস্থায়, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি গত চার দিন ধরে বিভিন্ন ধরণের মেশিন দিয়েও খনন করা হচ্ছে। এদিকে, জেলা খনি আধিকারিক কুমার রঞ্জন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খননকৃত সামগ্রী ল্যাবে পরীক্ষা করলেই সামগ্রিক পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।
ব্রিটিশরাও করেছিল খনন: উল্লেখ্য যে, জয়পুর থানা এলাকার লাকরামা পঞ্চায়েতের চান্দেপট্টি গ্রামেও সোনা পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও কাটোরিয়া থানা এলাকার বারবাসিনী পঞ্চায়েতের বাঘমারি গ্রামে অভ্র সহ মূল্যবান খনিজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল এই বিষয়ে চারটি জায়গা চিহ্নিত করে সন্ধান করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বলা হচ্ছে, বাঙ্কার এই অনুর্বর জমির নিচে সোনার ভান্ডার রয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ শাসনকালেও এই স্থানে খননকাজ করা হয়েছে। কিন্তু তখন অত্যাধুনিক মেশিনের অভাবে খুব একটা খনন করা সম্ভব হয়নি। সেই সময় ব্রিটিশরাও উজ্জ্বল পাথরের টুকরো সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। এখন ভূতাত্বিকরা লেন্স এবং টেলিস্কোপের সাহায্যে এই উজ্জ্বল পাথরগুলিকে গবেষণা করছেন।
পাওয়া গেছে কয়লা খনিও: কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মেশিন দিয়ে খননকাজ চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ভাগলপুর জেলায় দু’টি কয়লা খনির সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী দিনে কয়লার মজুদ আরও ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মির্জাগাঁও ও লক্ষ্মীপুরে এই দু’টি নতুন কয়লা খনি শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই খনিগুলিতে এত বেশি কয়লা রয়েছে যে ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে খনন চলতে থাকবে।