বকেয়া ছাড়িয়েছে ১০০০ কোটি, কবে মিলবে প্রাপ্য! চিন্তায় KMC-র ঠিকাদার থেকে অবসরপ্রাপ্তরা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাগামহীন খরচ! বকেয়ার (Pending) পরিমান বাড়তে বাড়তে প্রায় ১১০০ কোটি ছাড়িয়েছে। ঘোর সঙ্কট পুর (Kolkata Municipal Corporation) কোষাগারে। কবে মিলবে প্রাপ্য টাকা? প্রতিনিয়ত ঠিকাদার, অবসরপ্রাপ্তদের এই প্রশ্নে নাজেহাল পুরসভার আধিকারিকরা। একজন যায় তো আরেকজন আসে, নিস্তার নেই। বকেয়ার চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে ঠিকাদার থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। কবে মিলবে প্রাপ্য! জানা নেই তাদের।

কী বলছে কলকাতা পুরসভা? পুরসভা সূত্রে খবর, ঠিকাদারদের প্রায় দু বছরের টাকা বাকি। বর্তমান সময়ে পুর আয় কিছুটা বেড়েছে ঠিকই তবে তাতেও স্বস্তি নেই। কারণ আয়কে টেক্কা দিয়ে লাগামহীন ভাবে বেড়েছে ব্যয়। কর্মীদের বেতন ও পেনশন দিতে নাজেহাল অবস্থা। জানা গিয়েছে, গত বছর ঠিকাদাররা ১২০০ কোটিরও বেশি টাকা পেতেন। তারও আগের বছর ৪০০ কোটি টাকা দেনা মিটিয়েছে। এখনও বকেয়া প্রচুর।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালের বকেয়া প্রায় ৪০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে বকেয়া ৫৫০ কোটি ও ২২-২৩ অর্থ বর্ষে বকেয়ার পরিমান ৫৩০ কোটি টাকা। দিন দিন লাগাতার দেনা বাড়তে থাকায় বর্তমানে বকেয়া ১১০০ কোটির গন্ডি ছাড়িয়েছে। যার ফলে অনেকের প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটিও আটকে গিয়েছে। পেনশন সময়ে পেতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

kmc banner

এই নিয়ে এক পুর আধিকারিক জানান, জায়গা বাড়ায় তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খরচও। স্বাভাবিক ভাবে চলতে হলে মাসে ১০০ কোটি টাকা আয় দরকার। অর্থ বর্ষের শেষের কয়েকটা মাসে সেই সেই আয় পৌরনিগমের হাতে আসে। সব মিলিয়ে চিন্তায় ভাঁজ চওড়া হয়েছে পৌরনিগমের। তবে এসবের মধ্যেই তিনি জানান, একদিনের মধ্যে ঠিকাদারদের একটা মোটা অঙ্কের টাকা মেটানো হবে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর