বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা (Egra)। স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ভানু বাগের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহতের সংখ্যাটা আরও বেশি। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তারা। অন্যদিকে, ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে যেখানে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলছে গেরুয়া শিবির, অন্যদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (Central Government) দায়ী বলে যুক্তি দিল তৃণমূল (Trinamool Congress)।
১০০ দিনের টাকা আটকে আছে বলেই বিস্ফোরণ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। বিস্ফোরণের ঘটার ৪৮ ঘণ্টা পর এমনই যুক্তি দিল তৃণমূল। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডোর মুখেও শোনা গেল একই কথা।এগরা বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার জুড়ে দেওয়া হল বকেয়া ইস্যু। অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী যুক্তি? বহুদিন ধরে রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আর টাকা না পেয়েই নাকি বাংলার মানুষ বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় কাজ করছেন। শাসকদলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বলেই স্থানীয় মানুষজন বাজি কারখানায় কাজ করছেন।
সেই টুইটে তৃণমূল তরফে লেখা হয়েছে, ‘বিজেপির উদাসীনতায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। সে কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে আর কত কষ্ট পেতে হবে?’
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও নানা সময়ে বহুবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। আর এদিন রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও জুড়লো ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গ। মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসকদলের ওপর ফুসছে স্থানীয়রা, পুলিশের ভূমিকায় উঠেছে আঙ্গুল। আর এই প্রেক্ষিতেই এই অভিনব যুক্তি সামনে আনল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের এই দাবি নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে রাজ্যে কেউ কাজ না পেলে রাজ্য দায়িত্ব নিয়ে বোমা কারখানায় কাজ দিয়ে দেবে, তাকে বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত করে দেবে। কারণ বোমার প্রাসঙ্গিকতা এখন সমাজে সর্বাধিক। ’