বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শুভমান গিল ছাড়া আর কেউ বিন্দুমাত্র লড়াই পেশ করতে পারলেন না। রুতুরাজ গায়কোয়াডের দুরন্ত ব্যাটিং এবং জাদেজার অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে ভর করে এই নিয়ে ১৪টি আইপিএলে অংশগ্রহণ করে দশম বার ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেলো ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
গতকাল দাসুন শানাকাকে এই গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিফায়ার ম্যাচে নামিয়েছিলেন হার্দিক। আশা করেছিলেন যে ধোনির হাতের দুই শ্রীলঙ্কান ট্রাম্প কার্ড, মাথিশা পাথরিনা ও মহেশ থিকসেনাকে সামলাতে পারবেন তিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক প্রত্যাশা পুরণে ব্যর্থ হয়েছেন। একই রকমভাবে হারদিকের টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে যাওয়ার সিদ্ধান্তটিও এখন ভুল মনে হচ্ছে।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড দ্বিতীয় ওভারেই জীবন দান পেলেন নো বলের সৌজন্যে। সেই যে সুযোগটা তিনি পেলেন সেটিকে পুরোপুরি কাজে লাগালেন সিএসকে ওপেনার। আগ্রাসী ব্যাটিং করে করলেন দুর্দান্ত অর্ধশতরান। কাল খুব ভালো ছন্দে না থাকলেও অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে গেলেন। এবং শেষ দিকে যাদের পিন সেটিং কে কাজে লাগিয়ে ধোনির ব্যর্থতা সত্বেও স্কোরবোর্ডে ১৭২ রান তুলেছিল চেন্নাই।
রান তাড়া করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা (১২) শুরুরটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু বল পিচে পড়ে থমকে আসছিল। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েই তাকে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তুলিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান দীপক চাহার। সেই যে উইকেটের পতন শুরু হল, তার রেশ চলল গোটা ইনিংস জুড়ে। শুভমান গেলের ৪২ রানের ইনিংস ছাড়া রশিদ খান কিছুটা লড়াই করেছিলেন আগ্রাসী ৩০ রান করে। কিন্তু দীপক চাহার, পাথরিনাদের পাশাপাশি রবীন্দ্র জাদেজার (৩/১৮) অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে ১৫৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি গুজরাট।
এই নিয়ে ধোনির নেতৃত্বে দশমবার ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছল সিএসকে। যদি এই আইপিএলটি জিততে পারেন তাহলে হয়তো ধোনির খুশি মনেই এবার এই মঞ্চকে বিদায় জানাবেন। আর সেই লক্ষ্যে ধোনির হাতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন রবীন্দ্র জাদেজাই। গুজরাট টাইটেল স্কেপ দ্বিতীয় এলিমিনেটর খেলতে হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস ম্যাচের বিজয়ীদের বিরুদ্ধে।