বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘খোলা হাওয়া’ (Khola Haowa) নিয়ে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ভিতরের হাওয়া ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে! দলের ব্যানারের বদলে ‘খোলা হাওয়া’র উদ্যোগে ২৫ বৈশাখ সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়। আর তার জেরেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের রোষে পড়েছেন দলের তাত্ত্বিক নেতা স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। বঙ্গ-বিজেপির শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকলেও পরবর্তীতে তাঁদের অনেকেই দলের অন্দরে প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির ব্যানারের বদলে স্বপনবাবু কেন অন্য একটি সংগঠনের ব্যানারে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলেন?
শুধু তাই নয়, দল-বিরোধী আখ্যা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের একাংশের যুক্তি, ‘খোলা হাওয়া’র ব্যানারে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করে স্বপন দাশগুপ্তরা দলের ভিতরের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট করে তুলেছেন। যদিও এই যুক্তিকে পাত্তা দিতে রাজি নন স্বপন শিবিরের নেতারা। এক নেতা দাবি করেন, ‘স্বয়ং অমিত শাহ সশরীরে হাজির হন গত ৯ মে খোলা হওয়ার উদ্যোগে পালিত রবীন্দ্রজয়ন্তীতে। দল-বিরোধী কিছু ঘটছে বলে মনে হলে তিনি নিশ্চয়ই দেড় ঘণ্টা ওই অনুষ্ঠানে কাটাতেন না। দলের একাংশের গাত্রদাহটা ঠিক কোথায়, সেটা সবাই বুঝতে পারছেন।’
বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘খোলা হাওয়া’র অনুষ্ঠানের পর স্বপনকে বার্তা দিতে তাঁরই ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পণ্ডার ডানা ছাঁটা হয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সান্ধ্যকালীন বিতর্কসভায় শঙ্কুর অংশ নেওয়ার উপর বিজেপির পক্ষ থেকে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে বিষয়টি এনেছেন। এই প্রসঙ্গে স্বপন বলেন, ‘খোলা হওয়া একটি সামাজিক সংগঠন। তার ব্যানারেই আমরা রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছিলাম। শঙ্কুদেবও তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আমি শুনেছি, তাঁকে আরও কোনও টিভি চ্যানেলে পাঠানো হচ্ছে না। কোনও অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলে তা কেন দলবিরোধী হবে, বুঝতে পারছি না।’
সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে হওয়া রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তার তালিকায় দু’জনকে রেখেছিলেন স্বপন তথা আয়োজকরা- অমিত শাহ ও শুভেন্দু।বিজেপির অন্দরের খবর, দলের উদ্যোগেই এ বছর ঘটা করে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে চেয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদাররা। কিন্তু তার আগেই স্বপন ‘খোলা হওয়া’র ব্যানারে রবি ঠাকুরের জন্মদিন পালনের তোড়জোড় শুরু করে দেন।
স্বপন, শঙ্কুদের এই উদ্যোগে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেন শুভেন্দুও। ফলে একই দিনে আলাদা ভাবে দলের তরফে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের পথে সুকান্তরা হাঁটেননি। কিন্তু বিষয়টিকে তাঁরা সহজে হজমও করতে পারেননি বলে গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি।