মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে ডাহা ফেল করেও প্রাথমিক শিক্ষক! পর্ষদের তালিকা সামনে আসতেই চোখ কপালে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের প্রথম দিক থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে ধুন্ধুমার বঙ্গে। একের পর এক মামলা, উঠে আসছে হাজারো অভিযোগ, পাহাড়প্রমান অভিযোগ। এরই মধ্যে এবার আরেক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এল। মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক, কোনও পরীক্ষাতেই পাশ করতে পারেননি। তবুও দিনের পর দিন প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে (Primary Teachers) চাকরি করছেন। বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।

উত্তর দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় এমন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর সংখ্যাটা সবথেকে বেশি। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে জেলা ভিত্তিক কাট অফ মার্কস প্রকাশ্যে এসেছে, আর তাতেই সামনে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল বাংলায়।

   

হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ মতো মঙ্গলবার ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা ভিত্তিক কাট অফ মার্কস প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর পর্ষদের প্রকাশিত সেই তালিকা দেখেই চোখ কপালে সকলের।

দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশ না করেই অনেকে হয়েছেন শিক্ষক। দিনের পর দিন শিক্ষা দান করে যাচ্ছে। প্রাথমিকে চাকরি করছে, এমন বহু প্রার্থী রয়েছেন। আরও অবাক করে দেখা গিয়েছে এই শিক্ষকদের মধ্যে বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরি প্রাপকের উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর শূন্য।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় গত ৩ মে বিস্তারিত ভাবে ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেই মোতাবেক জেলা, ভাষা, মাধ্যম, জাতি ও ক্যাটাগরি-ভিত্তিক কাট অফ নম্বর প্রকাশ করেছে পর্ষদ।

high court

বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে সেই তালিকা। মোট ২৫ পাতার লম্বা সেই তালিকায় মেধাতালিকাভুক্ত হওয়া শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত টেট, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, প্রশিক্ষণ, ইন্টারভিউ, অ্যাপ্টিটিউড, এক্সট্রা কারিকুলামে প্রাপ্ত নম্বর ও মোট নম্বর দেওয়া হয়েছে। আর সেই তালিকা সামনে আসতেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা ঘিরে শুরু তরজা, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হাজারো প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর