বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির জেরে রীতিমতো আকাশ ছুঁয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যা সরাসরি টান ফেলছে জনসাধারণের পকেটে। এদিকে, পেট্রোল কিনতে গিয়েও পেট্রোল পাম্পে (Petrol Pump) প্রতারণার মুখোমুখি হন অনেকে। এমনকি, পাম্পে তেল কিনতে গিয়ে ভেজাল তেলের বিষয়টিও সামনে আসে। এদিকে, ভেজাল তেল গাড়ির ইঞ্জিনকে প্রভাবিত করে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের এমন কিছু কৌশল সম্পর্কে জানাবো যেগুলির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই পেট্রোল পাম্পে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন: পেট্রোল পাম্পে শর্ট সেলিং (Short Selling) থেকে বাঁচতে জ্বালানি কেনার সময়ে একটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। সেটি হল, পাম্পে তেল নেওয়ার আগে পাম্পের কর্মচারী যাতে মেশিনটি “শূন্য” থেকে শুরু করেন সেই বিষয়টিতে আপনাকে নজর দিতে হবে। যদি কর্মচারী এটি না করে থাকেন সেক্ষেত্রে তাঁকে অবিলম্বে বাধা দিন এবং বিষয়টি তাঁকে জানান।
এছাড়াও, যদি আপনি মেশিনটিকে শূন্যে রাখার পরও আপনার গাড়িতে প্রয়োজনীয় জ্বালানী পূরণ করার পরে দৃশ্যমান রিডিংয়ে সন্তুষ্ট না হন, সেক্ষেত্রে আপনি ৫ লিটার টেস্টের জন্য কর্মচারীকে জানাতে পারেন। এমতাবস্থায়, মিটারের কাছে দাঁড়িয়ে ওই কর্মচারীর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের দিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি, জ্বালানির বিক্রয় মূল্যের ওপরেও চোখ রাখতে হবে।
ট্যাঙ্ক অর্ধেক খালি হলেই পেট্রোল ভরুন: বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে, গাড়ি বা বাইকে পেট্রোল একদম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার পেট্রোল পাম্পে যাই না। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, খালি ট্যাঙ্কে পেট্রোল ভর্তি করলে আপনার গাড়ি বা বাইকটির অনেক ক্ষতি হয়। কারণ, ট্যাঙ্কটি খালি হয়ে গেলে তা বাতাসে পূর্ণ হয়ে যায়। যার কারণে পেট্রোলের পরিমাণও কমে যায়।
মিটার বারংবার থেমে থেমে চললে সতর্ক হন: পেট্রোল ভর্তি করার সময়ে যদি পাম্পে থাকা মেশিনের মিটারটি বারবার বন্ধ হতে থাকে বা থেমে থেমে চলতে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। কারণ, ওইভাবে পেট্রোল ভরা হলে তেলের পরিমাণ কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, কোনো পেট্রোল পাম্পে যদি এই জাতীয় মেশিন থাকে সেক্ষেত্রে সেই মেশিন থেকে পেট্রোল ভর্তি করা থেকে বিরত থাকুন।
ভেজাল তেল এড়াতে ফিল্টার টেস্ট করুন: এখন জ্বালানির গুণমান নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসে। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়ির ইঞ্জিন। এর পাশাপাশি গাড়ির মাইলেজও ভেজাল তেলের কারণে কমে যায়। এমতাবস্থায়, আপনার যদি সামান্যতম সন্দেহ থাকে যে তেলের গুণমানে কিছু ভুল আছে, তাহলে আপনি পেট্রোলের ফিল্টার পেপার টেস্ট করাতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কনজিউমার প্রোডাকশন অ্যাক্ট ১৯৮৬-র অধীনে, সমস্ত পেট্রোল পাম্পে ফিল্টার পেপার টেস্টের সুবিধা থাকা বাধ্যতামূলক। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক ফোঁটা তেল ঢেলে দেখা যায় যে, কাগজে কোনো দাগ আছে কি না। এমতাবস্থায়, ফিল্টার পেপারে থাকা দাগ থেকেই তেলে ভেজাল রয়েছে কি না তা বোঝা যায়।