বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতে ক্রিকেট এমন একটি খেলা যার জন্য দেশের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আবেগের অন্ত নেই। ভারতের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ আইপিএলের (IPL) সময়টা দেশে উৎসবের মতো পালন করা হয় এবং বছরের এই দিনগুলোতে আইপিএল নিয়ে মানুষ মেতে থাকে। গত বছরে দুটি নতুন দল আইপিএলে যোগ দিয়েছিল, যাদের মধ্যে গুজরাট টাইটান্স (Gujrat Titans) আত্মপ্রকাশের মরশুমেই পুরনো দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে আইপিএলের খেতাব দখল করেছিল। এর একটা বড় কারণ হলো হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya), যিনি গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম মরশুমেই কামাল করে দেখিয়েছেন। এরপর চলতি আইপিএল মরশুমেও তিনি নিজের দলকে ফাইনাল অবধি তুলে এনেছেন এবং চতুর্থ ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে একটি দলকে একের বেশি আইপিএল শিরোপা জেতার কৃতিত্বের অত্যন্ত কাছাকাছি রয়েছেন তিনি
বর্তমানে তিনি ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছেন এবং ভারতকে বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে সমৃদ্ধ করছেন। হার্দিক পান্ডিয়া তার নিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের এবং অধিনায়কত্ব, দুইয়ের কারণেই আজকাল শিরোনাম থাকছেন এবং লোকেরা তাকে অনুপ্রেরণা হিসাবে দেখছে। তবে তার এই জায়গায় পৌঁছনোর আগে সংগ্রামের দিনগুলিতে এমন একটি সময় ছিল যখন হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে তার ক্রিকেট কিট কেনা, খাওয়া এবং ক্রিকেট খেলা বজায় রাখার জন্য অর্থ ছিল না। লোকে তাকে গুরুত্বও দেয়নি, ক্রিকেট খেলা ছেড়ে তাকে ধাবায় কাজ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।
হার্দিক একবার তার সংগ্রামের দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি তার ডায়েট বজায় রাখতে খেলার আগে এবং পরে শুধুমাত্র ম্যাগি খেয়ে থাকতেন। পুষ্টিকর খাওয়ার পরিবর্তে তিনি ম্যাগি খেয়ে নিজের কাজ চালাতেন।যখন তিনি ক্রিকেট অনুশীলন করতেন, তখন তার কাছে সম্পূর্ন ক্রিকেট কিটও ছিল না, তাই তিনি প্রায়শই তার সতীর্থ বা সমিতির কাছ থেকে কিট ধার করতে বাধ্য হতেন।
হার্দিক পান্ডিয়া আরও জানিয়েছেন যে তখন তার বাবা-ই বাড়িতে একমাত্র কাজ করতেন এবং তার পরিবারের আয় খুব বেশি না হওয়া সত্ত্বেও, তার বাবা সবসময় তাকে এবং তার ভাই ক্রুনালকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। এছাড়াও হার্দিক তার জীবনের অনেক চ্যালেঞ্জের কথাও বলেছেন এবং তার ভক্তদের বলেছেন যে যদিও আজ তিনি একজন বলিউড তারকার মতো জীবনযাপন করেন, তবুও তিনি জীবনের এমন একটি পর্বের মধ্য দিয়ে গেছেন যখন খাবারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করাও তার কাছে সহজ ছিল না।
তার পরিবারের জন্য তার এই জায়গায় পৌঁছনো একটি বড় ব্যাপার ছিল। তিনি আজ যে জায়গায় আছেন, তা ওই ধরনের সংগ্রামী পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা, এটি ভারতের যুবকদের জন্য একটি উদাহরণ এবং জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া লোকদের জন্য তার এই লড়াইয়ের গল্প খুব বড় অনুপ্রেরণা।