বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেজে গিয়েছে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024) যুদ্ধের দামামা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্য আরও মজবুত করতে আগামী ১২ জুন পাটনায় বিরোধীদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠক হতে চলেছে নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) আহ্বানে। বৈঠকে থাকবে কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), আপ-সহ ২১টি বিরোধী দল।
নীতিশ-তেজস্বীকে আগেই এই বৈঠক ডাকার আহ্বান জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুরোধ মেনেই জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বৈঠক ডাকলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ, এনসিপি, আরজেডি, ডিএমকে-সহ অধিকাংশ বিরোধী দলই থাকছে বৈঠকে। শেষ পর্যন্ত এই বৈঠকে কারা থাকেন সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।
আগামী নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য আদৌও হবে কিনা তা ঠিক হবে ওই বৈঠকে। কয়েকদিন আগে নীতিশের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের পরই ঠিক হয় বৈঠকের দিনক্ষণ।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও ফারুক আবদুল্লা, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সকলেই থাকতে পারেন বৈঠকে।
আলাদা করে সকলের নজর থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। পূর্বাঞ্চলীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব ও প্রতিপত্তি কতটা তা দিল্লি ভালভাবেই জানে। মমতার অবস্থান নিয়েও বহু রকমেরই জল্পনা রয়েছে
এই পরিস্থিতিতে তাই নীতিশের ডাকা বৈঠককে ঘিরে জোর জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এর আগে কর্নাটকের নতুন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি। তিনি বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। আবার সপা নেতা অখিলেশ যাদবও যাননি। এমন এক পরিস্থিতিতে ১২ জুন পটনার বৈঠক কতটা ফলপ্রসু হয় সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
জাতীয় রাজনীতিতে বিগত বছরগুলিতে নিজেদের গুরুত্ব বুঝিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আম আদমি পার্টিও দিল্লির বাইরে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। পঞ্জাবে সরকার গড়েছে কেজরীবালের দল। এমন অবস্থায় যদি পটনার বৈঠক থেকে কোনও মোড় নেয় বিজেপি বিরোধী জোট, তাহলে কি ভরকেন্দ্র হয়ে উঠবেন নীতিশ কুমার? এমন প্রশ্নও উঠে আসছে রাজনৈতিক মহলে।