বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া মোড়। বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ ও মঙ্গলবার টানা ১১ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করল তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (ইডির দফতর) হাজিরা দেন সুজয়। প্রথম থেকেই তাকে যথেষ্ট ‘আত্মবিশ্বাসী’ দেখালেও শেষ রক্ষা হল না।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী এই সুজয়কৃষ্ণ। অভিষেককে মালিক বলেই সম্বোধন করেন তিনি। গত সপ্তাহে তল্লাশির সময় বেহালার বাড়ি থেকে সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। জানা যায়, সেই মোবাইল থেকেই বেশ কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসে। এরপরই গোয়েন্দা সংস্থার তরফে ডাক পড়ে তার।
আজ সেই মতোই তলব করা হয় ‘কাকু’ কে। আর আজই হলেন গ্রেফতার। বিগত কিছুমাস ধরে ‘কালীঘাটের’ কাকুকে নিয়ে কম চৰ্চা হয়নি। কিছুদিন আগেই সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ঘটনাচক্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সেই সময় দীর্ঘক্ষণ ধরে বেহালায় কালীঘাটের কাকুর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সূত্রে ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা উঠে এসেছিল। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগেই ধৃত তাপস সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুন্তল ঘোষ বলতেন, ‘‘কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। ”
এরপর কেঁচো খুঁড়তে বেরোয় অন্যকিছু। সেই সময়ই খোঁজ মেলে ‘কালীঘাটের কাকু’র। এরপর তদন্তের স্বার্থে কাকুকে দু’বার তলব করেছিল সিবিআই। সেই সময় একবার নিজে হাজিরা দিয়ে পরের বার আইনজীবীকে দিয়ে কিছু নথি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার ইডি তরফে ডাক পড়তেই সোজা গ্রেফতার। ইডি সূত্রে খবর, লাগাতার তদন্তে অসহযোগিতা করায় আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাকুর গ্রেফতারে এই তদন্ত কোন মোড় নেয় সেটাই এবার দেখার বিষয়।