বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার টানা ১২ ঘন্টা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। বহুদিন থেকেই গোয়েন্দাদের আতস কাঁচের নীচে ছিলেন সুজয়বাবু। আর তিনি গ্রেফতার হতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। এবার এই গ্রেফতারি গোটাটাই ‘পরিকল্পিত চিত্রনাট্য’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
গতকাল সুজয়বাবুর গ্রেফতারির পর এক সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। আর সেখানেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জোর আক্রমণ শানান। মুখপাত্রর কথায়, “সিবিআই এর এফআইআর এ নাম নারদা তোলাবাজিতে। গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে। সারদা কর্তার চিঠি কাঁথিতে শুভেন্দুরা নিয়ে গিয়ে ব্ল্যাক আন্ড হোয়াট এ ৫০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফ আর কোটি কোটি টাকা হচ্ছে নগদ। নগদ যদি বাদও দেই ইডি সিবিআই যদি টাকা উদ্ধার করতে নামে তবে কাঁথি পুরসভার টাকাটা পড়ে আছে কেন সারদায়?”
কুণাল বলেন, “আজকের যে ঘটনাটি ঘটেছে, পরিষ্কার কথা হচ্ছে এটা তদন্তের বিষয়। এজেন্সিক তদন্তের বিষয়ে যা করার তা করছে। এর ওপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবো না। কিন্তু, গতকালই বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগদান করেছে। ফলে শোকসভা করছিল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি। তো এই গোটা বিষয়টা থেকে নজর ঘোরাতেই এই কাজ।”
তার আশঙ্কা,”বিরোধী কর্মীদের মনোবল যে কাল ভেঙে গিয়েছিল সেই থেকে নজর সরাতেই পরিকল্পিত ভাবে এই চিত্রনাট্য কি না, সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তৃণমূলকে বিপদে ফেলতে, চক্রান্ত করতেই কি এরম একটা ম্যাসেজ।”
তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকায় অবশ্য প্রশ্ন তোলেননি কুণালবাবু। তিনি বলেন, “ইডি ও সিবিআই এর অনেক দক্ষ, যোগ্য অফিসাররা আছেন। কিন্তু ওটা চলছে বিজেপির কথায়। রাজনৈতিক ভাবে ওটা চালানো হচ্ছে। আর শুভেন্দুর আস্ফালন দেখে বোঝা যাচ্ছে এতে রাজনৈতিক মদত আছে। যদি দোষের জন্যই গ্রেফতার হয় তাহলে শুভেন্দু অধিকারী ছাড় পাচ্ছে কেন! একটা তোলাবাজ, ওর নাম ইডি, সিবিআই দেখতে পারছে না? এসব শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট অঙ্কে তদন্ত ঘুরিয়ে রাজনৈতিক মহল তৈরী করা।”