বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় চমক ঘটল আমাদেরই রাজ্যে (West Bengal)। জানা গিয়েছে যে, এবার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ৯,০০০ হর্স পাওয়ারের অত্যাধুনিক ইঞ্জিন বানিয়ে এক বিরল নজির তৈরি করেছে। পাশাপাশি সেটির নাম দেওয়া হয়েছে “নব উৎকর্ষ”। আর এইভাবেই গুজরাটকে টেক্কা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রক গুজরাটের একটি সংস্থাকে ৯,০০০ হর্স পাওয়ারের এহেন ইঞ্জিন বানানোর জন্য বরাত দিয়েছে। এমতাবস্থায়, ২০২৪ সাল থেকে ওই সংস্থা এই শক্তিশালী রেল ইঞ্জিন বানাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে, তার আগেই ৯,০০০ হর্স পাওয়ারের একটি রেল ইঞ্জিন বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। শুধু তাই নয়, গত বুধবার ওই ইঞ্জিনটি জাতির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে বলেও খবর মিলেছে।
উল্লেখ্য যে, আধুনিক রেল ইঞ্জিন তৈরি করার ক্ষেত্রে সমগ্ৰ দেশের মধ্যেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জুড়ি মেলা ভার। মূলত, পণ্য বহনকারী বেশি হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনগুলির অধিকাংশই চিত্তরঞ্জন লোকো মোটিভ ওয়ার্কস বানায়। শুধু তাই নয়, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিতে ৬০০০ হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন বানাতে সক্ষম হয়েছে।
তবে, এবারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আরও বড়। যদিও, সেই লক্ষ্যমাত্রাও সঠিকভাবে পূরণ করে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট কারখানা। এমতাবস্থায়, সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি, নতুন এই রেল ইঞ্জিনটি দেখতেও অত্যন্ত সুন্দর। সমগ্ৰ ইঞ্জিন জুড়েই লাল এবং নীল রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, একাধিক মনিটরিং ব্যবস্থা এবং যন্ত্রের পাশাপাশি চালকের জন্যও এই ইঞ্জিনে থাকছে অত্যাধুনিক সমস্ত ব্যবস্থা।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাধারণত ভারতীয় রেলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশি হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। এর আগে মালগাড়ির ক্ষেত্রে ৬,০০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হলেও এবার ৯,০০০ হর্সপাওয়ারের এই “নব উৎকর্ষ” ইঞ্জিন আরও বেশি শক্তিশালী হবে। যার ফলে সেটি বেশি রেক টেনে নিয়ে যেতে পারবে। এদিকে, বর্তমানে দেশে ফ্রেট করিডোর তৈরি হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে এই ধরণের রেল ইঞ্জিন আরও বেশি করে প্রয়োজন।