বাংলায় কাজ নেই! রোজগারের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়াই হল কাল, রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল হালিম মোল্লার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকালকের ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Train Accident) ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনান সারোয়ার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনার আগমুহূর্তে খাবারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। আমি ছিলাম ট্রেনের ওপরের সিটে। এসময় হালিম মোল্লা খাবার আনতে নিচের দিকে নামেন। হঠাৎ কি যে হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। যেই বগিতে ছিলাম বড় ঝাঁকুনি লাগে।’

তিনি জানান, ‘আহত অবস্থায় হালিমকে উদ্ধার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময়ই মারা যান তিনি। কাজের জন্য কেরালায় যাচ্ছিলেন তিনি। এখন প্রশাসন তার পরিবারকে কিছু টাকা-পয়সা দেবে বোধহয়।’ এ ঘটনায় তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলেও খবর।

ভারতের ইতিহাসে গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রায় তিনশত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হালিমের মতো এদিন আরও বহু মানুষ কর্মমণ্ড এক্সপ্রেস ছিলেন। যাদের অনেকেই চিকিৎসা ও কাজের জন্য যাচ্ছিলেন।

mamata banerjee coromandel accident

এমন দুর্ঘটনা নড়েচড়ে বসেছে দেশটির সরকার। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় ছাড়াও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীসহ অনেকে।  ট্রেনের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন কেউ কেউ।

রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০-১২টি বগি বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলো ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। কিছু ক্ষণ পর উল্টো দিকের লাইন দিয়ে আসে হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া বগির ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩ থেকে ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’

এরই সঙ্গে উঠে আসছে আর একটি দাবিও। পশ্চিমবঙ্গে কাজ নেই। আর তাই বাংলা ছেড়ে দলে দলে যুবক যুবতিরা পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে। আর যাত্রাপথেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। এই প্রসঙ্গেই এবার মমতার সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর