শত্রু নয়, অভিশপ্ত করমণ্ডল কাড়ল প্রাণ! বাঁকুড়ায় ফিরল CRPF জওয়ানের দেহ, চোখে জল সবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুমড়ে মুছড়ে যাওয়া বগি থেকে পাওয়া গিয়েছিল মোবাইলের ব্যাগ। কিন্তু, অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না দেহটা। এবার সেই ‘ডেডবডি’রই খোঁজ মিলল। অবশেষে ফিরল বাঁকুড়ার (Bankura) কুশমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধাড়ার নিথর দেহ। মঙ্গলবার নিখিল ধাড়ার দেহ আসতেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে সকলে।

জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ কর্মীরাই তাঁদের সহকর্মীর দেহ দায়িত্ব নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। পরোপকারী মিশুকে ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ সকলে। নিখিলবাবু মা জানিয়েছেন, ‘গত অগ্রহায়ণেই বাড়ি এসেছিল ছেলে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হই হই করে কেটে গিয়েছিল তার। এরপর ছত্তীসগড়ের ক্যাম্পে ফিরে যেতে হয়েছিল তাকে।’

পাশাপাশি প্রয়াত নিখিল ধাড়ার ভাইপো ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া বলেন, ‘কাকা আমার থেকে মাত্র দু’বছরের বড়, আমরা বন্ধুর মতো মিশতাম। গ্রামের প্রত্যেকের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট সুসম্পর্ক ছিল। এই অকালমৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই ক্ষতি শুধু গ্রাম বা এলাকার নয়, দেশের ক্ষতি।’ এদিকে, স্বামীর শোকে ঘনঘন মূর্ছা যাচ্ছেন স্ত্রী।

বাবার চিরঘুমের দেশে চলে যাওয়ার ঘটনা মানতে পারছে না জওয়ানের দশ বছরের মেয়েও। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে বৃদ্ধা বাবা-মা। ছোটোবেলার বন্ধু লক্ষ্মী নারায়ণ কর্মকারের কথায়, কয়েকদিন আগেই নিখিলবাবুর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। বলা বাহুল্য, এবার লক্ষ্মীবাবুর বন্ধু বাড়ি ফিরলেন। এলেন কফিনবন্দি হয়ে।

NIKhilXDhara

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই মর্গ, হাসপাতাল সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হলেও হদিশ মেলেনি নিখিলবাবুর। অবশেষে ওই জওয়ানের নিখোঁজ হওয়ার জট খুলতে আসলে নামে সিআরপিএফ। নিজেরাই তল্লাশি শুরু করে। পরবর্তীতে তারা ওড়িশা হাসপাতালের মর্গ থেকে নিখিল ধাড়ার দেহ উদ্ধার করে।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর