ঠেলার নাম বাবাজি! লাগাতার ED জেরায় অবশেষে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, বললেন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) ইডির হাতে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। চৰ্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে লাগাতার তার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনছেন ইডির তদন্তকারীরা।

সব প্রশ্নের উত্তরেই ‘না’, এমনকি খাওয়া-দাওয়াও প্রায় করছিলেন না বললেই চলে। তবে দিন গড়ালে এবার সেই কাকুই ইডি (Enforcement Directorates) আধিকারিকদের করা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, তদন্তের প্রথম দিকে অসহযোগিতা করলেও এখন আসতে আসতে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ইডির সব প্রশ্নের উত্তর না দিলেও কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইডি সুজয়বাবুকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন?’ এর উত্তরে কাকু বলেন, ‘২০২১ এর আগে চিনতাম না, তারপর থেকে চিনি।’

তারপর মোবাইলের একটি চ্যাট হিস্ট্রি দেখানো হয় কাকুকে, যাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালেও মানিকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, ‘জানি না, কিছু বলবো না’। আর সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘কথা হয়েছিল’।

ইডি সূত্রে খবর, ওয়েলথ্ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড, আর্কাইভ কনসালটেন্সি ও SD কনসালটেন্সি এই তিন কোম্পানির সঙ্গে নিজের প্রত্যক্ষ-যোগের কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’।

kuntal manik sujay tapas

তবে যোগ অস্বীকার করেছেন A সরকার অ্যাসোসিয়েট, সরকার এন্টারপ্রাইজেস ও নয়নিকা এন্টারপ্রাইজেসের সঙ্গে। অন্যদিকে, কাকু ও তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এর হদিস পেয়েছে ইডি। ‘কাকু’র আত্মীয়-পরিজনদের সম্পত্তির তালিকা তৈরির প্রস্তুতিও নিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। এবার পরবর্তীতে এই তদন্ত কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর