‘দুর্ঘটনা নয়’, ‘ইচ্ছে করে বিকৃত করা হয়েছিল সিগন্যালিং সিস্টেম’, বালেশ্বর কাণ্ডে হাড়হিম করা দাবি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার ঘা এখনও দগদগে! গত শুক্রবার বালেশ্বরের (Balasore) কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০। কার বা কিসের ভুলে ঘটে গেল এত বড় দুর্ঘটনা! এই নিয়েই যখন হাজারো প্রশ্ন, ঠিক সেই পরিস্থিতিতেই উঠে এল নয়া তথ্য।

গা শিউরে ওঠার মতো দুর্ঘটনা ঠিক কিভাবে ঘটলো! এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খুড়দার ডিভিশনার রেলওয়ে ম্যানেজার (DRM) রিনকেশ রায় বলেন, “যদি কেউ বিকৃত না করে সেক্ষেত্রে সিগন্যাল সিস্টেমে কোনও সমস্যা তৈরি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।” হ্যাঁ, হাড়হিম করা ঠিক এই তথ্যই দিয়েছেন ওই রেলওয়ে ম্যানেজার।

আর কি কি বললেন তিনি? করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তার প্রতিক্রিয়া, “মেন লাইনে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট লাইনে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না থাকে তবেই গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়। যদি ওই লাইনে ট্রেন চলাচলের মতো আদর্শ পরিবেশ না থাকে সেক্ষেত্রে কখনই সিগন্যাল গ্রিন হবে না। এই ধরনের ক্ষেত্রে কেউ যদি সিগন্যাল সিস্টেম বিকৃত করার চেষ্টা না করে সেক্ষেত্রে তা লালই থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “রেলের কাছে ডেটা লগার সিস্টেম রয়েছে যেখানে সিগন্যাল দেওয়ার সময় থেকে তথ্য নথিভুক্ত থাকে। ডেটা লগারে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার সময় সিগন্যাল সবুজই ছিল। যদি কেউ সিগন্যাল সিস্টেমকে বিকৃত করার চেষ্টা না করে তবে এটা কখনই সম্ভব নয়।”

coromondel

ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে CBI এর হাতে। সেই মোতাবেক তারা তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনার পর দিন থেকে প্রায় ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা গিয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাদের চিহ্নিতও করা হয়েছে। তবে রেল তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনো তথ্য সামনে আনা হয়নি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর