বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্ৰতি বছরের এই সময়টাতে সাধারণত গরমের কারণে ডিমের দাম (Egg Price) কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে যায়। এই বছরও গত এপ্রিল মাসে ডিমের দাম সামান্য কমলেও মে মাসে আচমকাই দাম বাড়তে শুরু করেছিল ডিমের। এদিকে, এহেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় আমজনতার মধ্যে।
তবে, এবার জুন মাসের শুরুতেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ট্রে প্রতি দাম হ্রাস পেয়েছে ডিমের। পাশাপাশি, বাজারেও খুচরো ডিমের দামে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, খুচরো বাজারে ডিমের দাম প্রতি জোড়াতে ৩০ থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত কমেছে।
মূলত, অত্যধিক গরমের কারণে ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় দামের ক্ষেত্রে এহেন পরিবর্তন ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি জানিয়েছেন, “গরমের কারণে বাজারে ডিমের চাহিদা কম রয়েছে। আর সেই কারণেই ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।”
এমতাবস্থায়, ফের ডিমের চাহিদা বাড়লেই এটির দাম যে বৃদ্ধি পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে, মদনবাবু জানিয়েছেন, এই দামে ডিম বিক্রি হতে থাকলে তা পোলট্রি চাষিদের জন্য অত্যন্ত খারাপ হবে। এমনকি, লোকসানের মুখেও পড়তে পারেন তাঁরা। এদিকে, ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির দাম অনুযায়ী, খুচরো বাজারে ডিমের দাম ১ টাকা কমেছে।
অর্থাৎ, বর্তমানে ডিমের জোড়ার দাম রয়েছে ১২ টাকা। গত মাসে এই দামই ছিল ১৩ টাকার আশেপাশে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কমিটি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ট্রে হিসেবে ডিমের দামের পাইকারি রেটে গত ১০ দিনে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মূলত, গত মাসে ডিমের ট্রে-র দাম ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। তবে, সেই দাম আপাতত কমে হয়েছে ১৬০ টাকার আশেপাশে। অন্যদিকে হোটেলগুলিতে ক্যারট করে ডিম নিয়ে আসা হয়। সেক্ষেত্রে ১০০ পিস ডিমের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসের তুলনায় দাম প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।