সন্ধ্যা ৮টার মধ্যেই বন্ধ করতে হবে দোকান বাজার! বিদ্যুৎ বাঁচাতে নয়া ‘ফতোয়া’ পাকিস্তানে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অর্থনৈতিক সংকটে বিদ্ধস্ত পাকিস্তান। অবস্থার সামাল দিতে নয়া নির্দেশ জারি করল শহবাজ শরিফের সরকার। আটটার মধ্যে দেশের সমস্ত বাজার বন্ধ করতে হবে, এমনই ফতোয়া জারি করল পাক সরকার। দেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল জানান, বিদ্যুতের খরচ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন ইকবাল।

বিদেশি মুদ্রার অভাবে জ্বালানি কিনতে পারছে না পাকিস্তান (Pakistan)। তার জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবেউৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

এই ভয়ংজর পরিস্থিতিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে প্রাদেশিক মন্ত্রীরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিদ্যুৎ বাঁচাতে রাত আটটার পর সমস্ত বাজার ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্র ও প্রাদেশিক দুই সরকারের তরফেই আলাদা করে জারি হবে নির্দেশিকা। পরিকল্পনা মন্ত্রীর মনে করেন, এই পদক্ষেপ করলে বছরে প্রায় ১০০কোটি ডলার সাশ্রয় করতে পারবে পাকিস্তান।

pakistan

বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির উপর যেন আর ভরসা করতে না হয়, তার জন্য বিকল্প পথ খোঁজারও ব্যবস্থা করছে পাক প্রশাসন। বুধবারই মন্ত্রী ইকবাল জানিয়েছেন, সৌর বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরি করে জ্বালানি আমদানির বিষয়টি একেবারেই শেষ করে দেওয়া হবে।

বিদ্যুতের খরচে কাটছাঁট করতে আগেও একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পাক সরকার। সরকারি অফিসারদের জন্য বরাদ্দ করা বিদ্যুতের পরিমাণ কমানো হয়। আগের তুলনায় চল্লিশ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় সরকারি অফিসগুলিতে। আধিকারিকদের জন্য গাড়ি বা এসি কেনা বন্ধ হয়। প্রতি শুক্রবার বাধ্যতামূলক ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাত দশটার মধ্যে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানও শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। তবে এত কিছু করেও দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়ানো যাচ্ছে না।

মাসিক ভিত্তিতে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা বেড়েছে ২.৬ শতাংশ। পাক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এপ্রিলের শেষে দেশীয় ঋণ ৩৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা কি না পাক সরকারের নেওয়া মোট ঋণের ৬২.৩ শতাংশ। এদিকে পাকিস্তানের ঘাড়ে চেপে থাকা বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২২ লক্ষ কোটি টাকা। যা সেদেশের সরকারের নেওয়া মোট ঋণের নিরিখে প্রায় ৩৭.৭ শতাংশ।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর