বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেই সফরের আগেই ভারত ও মোদি স্তুতি শোনা যাচ্ছে শীর্ষ মার্কিন কর্তাদের মুখে। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার এক বিবৃতি জারি করেছে হোয়াইট হাউস।
সেখানে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। তবে কৌশলী শব্দচয়নের নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসনের চিন উদ্বেগ লুকিয়ে তা স্পষ্ট। বিশেষ করে, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘ড্রাগনে’র আগ্রাসনে ওয়াশিংটন যে সিদুঁরে মেঘ দেখছে তা স্পষ্ট। আর তাই চিনকে শায়েস্তা করতে ভারতই এখন আমেরিকার তুরুপের তাস।
এরই মধ্যে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এরপরই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয় ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র। এবং ভারত সরকার সেই গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ভাবে লালন করছে।’ এরপরই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, যে কেউ এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১০ দিনের মার্কিন সফরে মোদি সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিকে সামনেই মোদির আমেরিকা সফর। তার আগে হোয়াইট হাউস ভারতের গণতন্ত্রের সুখ্যাতি করেছে। আর এরপরই গেরুয়া শিবিরের খোঁচা,আমেরিকার এই প্রশংসা রাহুলের মুখে ‘জোরালো থাপ্পড়’।
সোমবারই হোয়াইট হাউস ভারতীয় গণতন্ত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। এদেশের গণতন্ত্রকে ‘বর্ণময়’ হিসেবে বর্ণনা করে আমেরিকা জানিয়েছে নয়াদিল্লিতে গেলেই সেটা বোঝা যায়। ভারতের গণতন্ত্রের বিপণ্ণতা নিয়ে উদ্বেগকে উড়িয়ে হোয়াইট হাউসের এই বিবৃতিকেই রাহুলকে আক্রমণের ‘হাতিয়ার’ করছে বিজেপি।
আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেই সফরের আগে আশাবাদী পঞ্চমুখ শীর্ষ মার্কিন কর্তাও। হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল জানাচ্ছেন, তাঁর আশা মোদির মার্কিন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তুলবে।