একসাথে দেখা মিলবে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর পুরনো সিল্করুটের! অল্প খরচে ঘুরুন এই হিল স্টেশন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গ্রীষ্মের ভয়াবহতা কাটিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে বৃষ্টি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়বে বর্ষা। এমন অবস্থায় চারদিকে সাজো সাজো রব। এই মনোরম মধুর পরিবেশে আপনারা চাইলে এই উইকেন্ডে তিন দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পংয়ের কাগে (Kagey) থেকে।

ছবির মত সুন্দর এই গ্রামটি গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বাক্স বাড়ি আর পাহাড়ের ঢালে চাষের জমি নিয়ে। অপূর্ব সুন্দর এই গ্রামটিকে প্রকৃতি নিজের মতো করে সাজিয়েছে। গ্রামের যত্রতত্র দেখতে পাবেন পাইন, ওক, ধুপি গাছের সারি। এই গ্রামে রয়েছে বাক্স বাড়ি। পাহাড়ের ধাপে রয়েছে চাষের জমি।

যেদিকে চোখ যাবে সেদিকেই শুধু নজরে আসবে সবুজের সমারহ। আর এসব কিছুর মাঝেই রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বর্তমানে দার্জিলিং ও কালিম্পং এর বিভিন্ন অফ বিট পাহাড়ি গ্রামগুলো পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। জন অরণ্য থেকে বিদায় নিয়ে অনেকেই চাইছেন কিছুদিনের জন্য নিস্তব্ধ-নির্জন এই পাহাড়ি গ্রামগুলো থেকে ছুটি কাটিয়ে আসতে।

1585048120 Tourism Kagey 3

এই ধরনের অফ বিট পর্যটকদের জন্য নিঃসন্দেহে ঘুরতে যাওয়ার সেরা ডেস্টিনেশন কাগে। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত কাগে। কাগে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে কালিংপং থেকে পৌঁছতে হবে আলগরা। সেখান থেকে পেডং হয়ে সরাসরি কাগে। পেডংয়ের উপরেই অবস্থান কাগের। পূর্ব হিমালয়ের অনন্য রূপ দেখা যায় কাগের চূড়া থেকে।

কাগে থেকে বেশ কাছে সিকিমের পুরনো সিল্ক রুট। সন্ধ্যার তারা ভরা আকাশ কাগেকে করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। সিকিম ও কালিম্পং এর ছোট ছোট গ্রামগুলি এই সময় এক অনন্য রূপ ধারণ করে। এই গ্রামে গ্রীষ্মকালে দেখা যায় বাহারি ফুল, ফল ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের। এছাড়াও এখানে রয়েছে ১৮৯১ সালে নির্মিত একটি প্রাচীন চার্চ।

Tourism Kagey

রাত্রি বাসের জন্য এই গ্রামে রয়েছে একাধিক হোমস্টে। আপনারা যদি কাগের চূড়ায় থাকেন তাহলে ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সিকিম ও কালিম্পং এর সৌন্দর্যতাকে। এছাড়াও রয়েছে তাঁবুতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা। থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি প্রতিদিন খরচা পড়তে পারে এক হাজার টাকা।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর