‘মনে কষ্ট নিয়েই মরে যাব?’ ৫৭-তে ফের বিয়ে করে মাথায় হাত আশিষ বিদ্যার্থীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: উঠতে বসতে সমালোচনা ট্রোলের শিকার হন বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখরোচক মন্তব্যের ঝড় প্রায়ই ওঠে নেট পাড়ায়। সম্প্রতি একটু বেশি বয়সে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। লাগাতার কটুক্তি শুনতে শুনতে সম্প্রতি বোমা ফাটালেন অভিনেতা।

৫৭ বছর বয়সে এসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন আশিষ বিদ্যার্থী। নিজের থেকে অনেকটাই ছোট ফ্যাশন ডিজাইনার রূপালী বড়ুয়াকে বিয়ে করেছেন তিনি। কলকাতার বুকে ছিমছাম ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল তাঁদের। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই শুরু হয় চটুল সমালোচনা, কুৎসিত কটাক্ষ।

Ashish vidyarthi

আশিষ বিদ্যার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নেটিজেনদের একাংশের। প্রথমত, এত বয়সে দাঁড়িয়ে আবার বিয়ে করার কী দরকার ছিল তাঁর? দ্বিতীয়ত আগের পক্ষের স্ত্রী বর্তমান থাকতে তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন করে সংসার সাজানো তাঁর অন্যায় হিসেবেই দেখছেন নিন্দুকেরা। বিয়ের পরপরই সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। কিন্তু তাতে কুৎসা কমার বদলে আরো বেড়ে যায়।

এবার সরাসরি নিন্দুকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন আশিষ। তাঁর জিজ্ঞাস্য, বয়স হয়ে গিয়েছে বলে কি তিনি আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে গিয়েছেন? তাঁর কি সঙ্গী পাওয়ার অধিকার নেই এই বয়সে? অভিনেতা বলেন, ‘বুড়ো ভাম’ এর মতো কুৎসিত মন্তব্য করা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। যারা এই ধরণের কমেন্ট করছেন তারা নিজেরাও তো একদিন বুড়ো হবেন। বয়স হয়ে গিয়েছে মানে সবকিছু শেষ? মনে কষ্ট নিয়েই মরে যেতে হবে? কেউ যদি একজন সঙ্গী চায় সে পাবে না কেন? প্রশ্ন অভিনেতার।

আশিষ বিদ্যার্থীর স্পষ্ট কথা, একটা মানুষ আইনত ভাবে আরেকটি মানুষকে বিয়ে করছে, যারও পরিবার গড়ার ইচ্ছা। এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এতে অন্যদের খোঁচা না দিয়ে বরং সমর্থন করা উচিত। তাঁর বিয়ে করার জন্য মানুষের এমন ধরণের মন্তব্য দেখে তিনি রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান আশিষ বিদ্যার্থী।

প্রসঙ্গত, বলিউডের নামী অভিনেতা হিসেবে পরিচিত আশিষ বিদ্যার্থী। মূলত খল চরিত্রেই বেশি দেখা যায় তাঁকে। জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন অভিনেতা। কলকাতা তাঁর প্রিয় শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। মাঝে মধ্যেই শহরে আসতে দেখা যায় তাঁকে।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর