বাংলা হান্ট ডেস্ক: পেট্রোল এবং ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দাম (Fuel Price) প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে জনগণকে। পাশাপাশি, এই দামের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি টান পড়ে পকেটেও। মূলত, পেট্রোল-ডিজেলের দামের ওপর অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও নির্ভর করে। এমতাবস্থায়, দেশে জ্বালানির দাম দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
তবে, এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, এবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমতে পারে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জ্বালানির দাম কমার প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছে মোদী সরকার।
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১০০ টাকার গন্ডি পেরিয়ে গেছে। তবে, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের পরে, পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। উল্লেখ্য যে, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম তেল সংস্থাগুলি দ্বারা নির্ধারিত হয়। তবে, এখন সরকারের তরফ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, জ্বালানির দাম এবার কমতে পারে।
তেলের দাম: ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তেল সংস্থাগুলির ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই পুষিয়ে এসেছে। এরপর তেল কোম্পানিগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর কথা ভাবতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলে দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে তেল কোম্পানিগুলি যদি পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমায়, তাহলে সরকারও অনেকটাই স্বস্তি পাবে।
এদিকে, জ্বালানির দামের প্রসঙ্গে বিরোধীরাও তোপ দাগছে সরকারের প্রতি। তবে এখন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তেল কোম্পানিগুলির কাছ থেকে জ্বালানির দাম কমার আশায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ।