বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) কাণ্ডে তাজ্জব সকলে। সদ্যই বিয়ে সেরেছেন। তবে তারপরই দিনই ডিভোর্স (Divorce) চেয়ে বসলেন পত্নীর কাছে। কি এমন হল যে বিয়ের একদিনও কাটতে না কাটতেই মোহভঙ্গ! এমনই গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন ঘিরে ধরেছে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে।
গত ২৮ মে কলকাতায় রেজিস্ট্রি সইসাবুদ করে পিকনিক গার্ডেনের মেয়ে স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরীকে বিয়ে করেন মুকুটমণি। আইনি বিয়ে হলেও বেশ ধুমধাম করেই হয় বিয়ে। উপস্থিত ছিলেন ছিলেন দুই পরিবারের সদস্যরাও। সব কিছু ভালো মতো মিটলেও পর দিনই ঘটলো বিপত্তি।
আইনি বিয়ের পরের দিনই নববধূ স্বস্তিকা অভিযোগ, স্বামী মুকুটমণি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন না বলেও জানান বিজেপি বিধায়ক! এই অভিযোগ তুলেই মুকুটমণির বিরুদ্ধে তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। গত ৭ জুন মুকুটমণি, তার বাবা ভূপাল অধিকারী এবং ভাই অনুপম অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বস্তিকা। বর্তমানে তদন্ত চলছে।
স্বস্তিকার অভিযোগ, তিনি নিজের পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকেন। বিয়ের জন্যই ২৭ মে বাড়ি ফেরেন। সব ঠিকঠাক মতো মিটেও যায়। তবে বিয়ের পরেরদিন থেকেই নাকি মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন বিধায়ক। পাশাপাশি বিষয়টি গোপন রাখার জন্যও চাপ সৃষ্টি করা হয়।
অভিযোগকারিণীর কথায়, ‘আমি সামাজিক বিয়ের কথা বললে স্বীকৃতি দিতে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।’ বিধায়কের স্ত্রীর অভিযোগ বিয়ের পরেরদিন থেকেই স্বামীর একাধিক সম্পর্কের কথা জানতে পারেন স্বস্তিকা। সেসব নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই ঝামেলা শুরু হয়।
স্বস্তিকার অভিযোগ, হস্টেলে থাকাকালীন বাইরে থেকে বিভিন্ন মহিলাদের ঘরে নিয়ে আসত মুকুটমণি। তবে সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে থাকার পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনা। স্বস্তিকা আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাই সোজাসুজি আইনি পথেই লড়াইয়ে নামেন। তবে বিজেপি বিধায়কের এহেন কর্মকাণ্ড সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।