বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। মূলত, প্রায়শই দেশের (India) জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় অর্থ মন্ত্রককে (Finance Ministry)। তবে, এবার দেশের রেটিং বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রকের তরফে রেটিং এজেন্সির সাথেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, ভারতের রেটিং বাড়ানোর লক্ষ্যে রেটিং এজেন্সি মুডিজের ওপর ভরসা রাখছে মন্ত্রক।
রেটিং এজেন্সি মুডিজ: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে এখন রেটিং এজেন্সি মুডিজের সঙ্গে বৈঠকও সম্পন্ন হবে। অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকরা আগামী ১৬ জুন আমেরিকাতে স্থিত রেটিং এজেন্সি মুডিজের সাথে বৈঠক করবেন। ওই সময়, আধিকারিকরা ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলি সম্পর্কে জানাবেন এবং সার্বভৌম রেটিং বাড়ানোর জন্য জোর দেবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মুডিজের দেওয়া রেটিং সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হয়। বর্তমানে, মুডিজ ইনভেস্টর সার্ভিস ভারতকে একটি স্থিতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি সহ “Baa3” ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে। এদিকে, বিনিয়োগ গ্রেডে “Baa3” হল সর্বনিম্ন রেটিং।
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ, মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন এবং মন্ত্রকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উর্ধ্বতন অধিকারিকরা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ওই সময় তাঁরা অর্থনৈতিক সংস্কার, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর এবং প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারের প্রসঙ্গে কথা বলবেন।
আর্থিক উদ্দেশ্য: জানিয়ে রাখি যে, গত দুই বছরে সরকার তার আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। ২০২২-২৩ সালে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ GDP-র ৬.৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। আগের অর্থবর্ষে এই পরিসংখ্যান ছিল ৬.৭ শতাংশ। এদিকে, চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি GDP-র ৫.৯ শতাংশে থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এদিকে, সরকার ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এটি ৪.৫ শতাংশের নিচে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত মাসে, অন্য দু’টি বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সি S&P এবং Fitch স্থিতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রেটিং “Bbb”-তে বহাল রেখেছিল।