বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indian Railways) বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে অন্যতম। মূলত, আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়ার পরেই ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। পাশাপাশি, দৈনিক লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে সফর করেন। যার ফলে এটি দেশের গণপরিবহণের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আমাদের দেশে মোট রেল ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য হল প্রায় ৬৮,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় রেল প্রায় ১৩,২০০ টি ট্রেন পরিচালনা করে। এদিকে, ট্রেনকে ঘিরে নানান প্রশ্ন ভিড় করে সকলের মনে। এমতাবস্থায়, আপনি কি জানেন যে ট্রেনেও গাড়ির মত গিয়ারের ব্যবস্থা থাকে? আসলে, অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ট্রেনে গিয়ার থাকলেও সেগুলির পৃথক নাম রয়েছে। ডিজেল লোকোমোটিভে ৮ টি গিয়ার থাকে। যার নাম হল নচ। অন্যান্য যানবাহনের মতো, ট্রেনের ক্ষেত্রেও গিয়ারগুলি উপরে যাওয়ার সাথে সাথে গতি মসৃণভাবে বৃদ্ধি পায়। ডিজেল লোকোমোটিভের ক্ষেত্রে গিয়ার অষ্টম নচে রাখার পরে তা প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। একইভাবে, যখন গতি কমানোর প্রয়োজন হয়, তখন নচকে কমানো হয়। এমনকি, গতি স্থির রাখার জন্য নচকেও নির্দিষ্ট গতির ভিত্তিতে স্থির করা হয়।
বারবার পরিবর্তন করতে হয় না নচ: মূলত, একবার ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পেলেই নচকে স্থির করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, বারংবার এটিকে পরিবর্তন না করলেও ট্রেন নির্দিষ্ট একটি গতিতে চলতে থাকে। বর্তমান সময়ে বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভগুলি ডিজেল লোকোমোটিভ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। যেগুলিতে নচ স্থানান্তরিত করার দরকার পড়ে না। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে নচ স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হয়। এদিকে, ট্রেনের ইঞ্জিন যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সেটির গতি আরও একটি জিনিসের উপর নির্ভর করে। তা হল পাওয়ার সেকশন।
পাওয়ার সেকশন: প্রধানত, কোন ইঞ্জিন কতটা শক্তিশালী তার উপর ট্রেনের গতি নির্ভর করে। এছাড়াও, পাওয়ার সেকশনও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে পাওয়ার সেকশনের অর্থ হল, যে ট্র্যাকে ট্রেন চলছে তার ক্ষমতা কত! অর্থাৎ, সেই ট্র্যাকে হাই স্পিড ট্রেনের চলাচল আদৌ সম্ভব না কি সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কোনো রেল ইঞ্জিনকেই পূর্ণ গতিতে পরীক্ষা করা হয় না।