বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে ক্রমশ্যই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। মনোনয়ন জমা করা নিয়ে মঙ্গলবার ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড় (Bhangar)। চারিদিকে গুলির শব্দ, চলল দেদার বোমাবাজি। আইএসএফ-এর (ISF) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা করতে গেলে আইএসএফ-কে বাধা দেয় তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা।
এরপরই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। সটান বিডিও অফিসের কাছে শতাধিক বোমা (Bombing) ফেলার অভিযোগ। শুধু তাই নয় আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন বানচাল করতে গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় আহত এক আইএসএফ নেতা।
আর ঘটনাস্থলেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) ছেলের গাড়ি থেকে মিলল বোমা। আরাবুলের ছেলে হাকিমুলের (Hakimul Islam) গাড়ির ড্যাশবোর্ড থেকে উদ্ধার তাজা বোমা। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তিনটি গাড়িতে রাখা ছিল বোমা। যার মধ্যে একটি আরাবুল ইসলামেরও।
অন্যদিকে, নিজের গাড়ি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় হাকিমুল ইসলাম বলেন, চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি নিজে এই গাড়ি ব্যবহার করছিলেন না। ভাঙড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে, অশান্তির সৃষ্টি করছে আইএসএফ। বহু গাড়ি ভাঙা হয়। সেই সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করে বাইরে থেকে কেউ বা কারা তার গাড়ির ভিতর বোমা ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ আরাবুল পুত্রের। ভোট পূর্বে তাকে ফাঁসাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হাকিমুল।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন,”অশান্তির ঘটনায় বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। একজন প্রার্থীকে গুলি করা হয়। তাদের মনোনয়ন আটকাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা এই কাজ করেছেন।”
তৃণমূলের দাবি আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা ব্যাহত করতেই ইচ্ছা করে এই অশান্তি করেছে আইএসএফ। পাল্টা নওশাদ বলেন, ” নবজোয়ার কর্মসূচীতে বাধা দেওয়ার থাকলে আমরা আজ ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে মনোনয়ন দিতে যেতাম।”