বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী ৮ই জুলাই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ টালবাহানের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। আগামী ১১ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন প্রক্রিয়া।
এখনো পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ চলছে। আগামী ১৫ই জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আগামী ২০ জুন মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন এলে দেখা যায় বহু মানুষ ভোটে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন ধরনের মানুষ নির্বাচনে লড়াই করতে চান।
অনেকে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়যুক্ত হতে চান। কিন্তু প্রত্যেকটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই থালে কিছু বিধি-নিষেধ। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে কারা কারা এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পরিষ্কারভাবে বললে নির্বাচন কমিশন এমন কিছু পেশার কথা উল্লেখ করেছে যার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না।
পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে এইবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ ধরনের ব্যক্তিরা নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না। ১৮ ধরনের ব্যক্তি বলতে বোঝানো হয়েছে সেই ব্যক্তিদের পেশাকে। অর্থাৎ এই ১৮ ধরনের পেশার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
সূত্রের খবর, রেশন দোকান মালিক, সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ড, জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের কর্মী, শিক্ষাবন্ধু, ইউথ ভলান্টিয়ার, বিএমওএইচের অধীনে কর্মরত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
এছাড়াও, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীস্থ চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত গ্রামীণ রোজগার সেবক, স্কিলড টেকনিক্যাল পার্সন, গ্রামীণ স্তরের উদ্যোগপতিরাও পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু যদি এই পেশার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়াতে চান তাহলে তাদের পেশাকে ত্যাগ করতে হবে। সেই পেশা ত্যাগ করে যে কেউ পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন।