বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শাসক দল। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দলকে চরম বিপাকে ফেললেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) চার তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool Congress)। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ ও জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দলের নেতাদেরই কাঠগড়ায় তুললেন চার বিধায়ক। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর নাম করেই নিশানা করলেন কান্দির বিধায়ক, দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার ও তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে। প্রার্থীতালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে বিধায়ক হুমায়ন কবীর প্রশ্ন তোলেন, ‘এ কেমন পার্টি !’
দলীয় সূত্রে খবর, প্রথমে বিধায়ক পুত্রের নাম ঘোষণা হয়েছিল এক এলাকা থেকে, পরে নাম ঘোষণা হয়েছে ভরতপুরের সংরক্ষিত আসনে। হুমায়ুনের অভিযোগ, ‘নিজেদের খেয়ালখুশি মত প্রার্থী করছেন নেতারা। বৈষম্য হচ্ছে বিধায়কদের সঙ্গে। দল প্রতীক না দিলে বন্ধুত্বপুর্ণ লড়াই হবে বিধায়কের প্রার্থীদের সঙ্গে ব্লক সভাপতির প্রার্থীদের। দলের সিম্বল না পেলে বিধায়ক অনুগামীরা নির্দল হবেন।’
ভরতপুরে বিধানসভা এলাকায় সব আসনেই নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাবেন বলেও জানান তিনি। হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ করেন, “অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন নির্দলদের নেওয়া হবে না দলে। তারপরেও দলে এসেছেন বাইরন। পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতে বিধায়কের মতকে গুরুত্ব দেননি জেলার নেতারা।
রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীও নিশানা করেছেন দলকে। রবিউলের দাবি, “বিরোধীরা প্রার্থী দিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারছে না। আমরা চার বিধায়ক প্রথম মুখ খুললাম। এবার মুখ খুলবেন অন্য বিধায়করা। এইভাবে দল চললে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির হবে দলের।’
হুমায়ুন, রবিউলের মতোই নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ ও জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকও। বিধায়কদের দাবি, দল যাদের টিকিট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কাটমানি, তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকজন টিকিট পাননি।