বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো পাকিস্তান ক্রিকেটকে (Pakistan Cricket) কেন্দ্র করে। পাকিস্তানেরই প্রাক্তন ক্রিকেটার জুলকারনাইন হায়দারের (Zulqarnain Haider) একটি পুরানো ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে চলেছে। আর এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। ঐ ভাইরাল ভিডিওতে, হায়দার ক্রিকেট মাঠে নামাজ পড়ার জন্য পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সমালোচনা করেছেন এবং গোটা বিষয়টি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উপায় বলে অভিহিত করেছেন।
এই ভিডিওটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে। ভিডিওতে হায়দার মাঠে প্রার্থনা করার বিষয়টির সাথে একেবারেই একমত নন বলে জানিয়েছেন স্পষ্টভাবে নিজের চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজের উদাহরণ টেনে জোরের সাথে বলেছেন যে তিনি নিজে একজন ধার্মিক ব্যক্তি হলেও ক্রিকেট মাঠে প্রার্থনা করার বিষয়টা কেবল দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে প্রশংসা পাওয়ার একটি ধান্দা বলেই মনে হয় তার।
এরপর তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করে দাবি করেন যে ম্যাচ গড়াপেটার সাথে জড়িত প্রচুর ব্যক্তি এই প্রার্থনায় অংশ নেন। হায়দারের মতে, মাঠের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে যেখানে খেলোয়াড়রা তাদের প্রার্থনা সম্পূর্ণ করতে পারে। কিন্তু সেই জায়গাগুলোর পরিবর্তে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সকলের নজরে পড়ার জন্য সকলের সামনেই মাঠের মধ্যে প্রার্থনা করে থাকে!
এই ভিডিওতে তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত যুক্তির মূল ভিত্তি ধর্ম এবং ক্রিকেটের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বজায় রাখার গুরুত্বকে ঘিরে। তিনি ধারণা করেন যে লোকেরা সহানুভূতি চাওয়ার উদ্দেশ্যে এবং ক্যামেরায় উপস্থিত হওয়ার উদ্দেশ্যে মাঠে এই প্রার্থনায় জড়িত থাকে। হায়দার নিজে নিজের ধর্মের ঈশ্বরের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন বলে দাবি করেছেন, কিন্তু সেইসঙ্গে তিনি এটাও মনে করেন যে নিজের ধর্ম এবং ক্রিকেট, দুটি হলো সম্পূর্ণ আলাদা সত্তা, যেগুলিকে একসাথে জড়িত নেওয়া উচিত নয়।
পাকিস্তানের জনগণ ছাড়া অন্যান্য দেশে হায়দারের পরিচিতি খুব একটা বেশি নয়। তার পুরো আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে হায়দার একটি টেস্ট ম্যাচ, চারটি ওডিআই এবং তিনটি টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন।