বাংলাহান্ট ডেস্ক : মৎস্যজীবীদের (Fisherman) জালে মাঝেমধ্যে উঠে আসে বিশাল আকৃতির মাছ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসে সেই খবর। তবে এবার মাছ নয়। মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এলো বিশাল আকৃতির কাঁকড়া। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের আঠারো গাছিয়া জেটিঘাট সংলগ্ন একটি জায়গায়। বিশাল আকৃতির সেই কাঁকড়া দেখতে মুহূর্তের মধ্যে বহু মানুষ ছুটে আসেন ওই এলাকায়।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলছে গরমকাল। এই সময় কাঁকড়া পাওয়াই যায় না। অথচ মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এলো বিশাল আকৃতির সামুদ্রিক কাঁকড়া। এত বড় কাঁকড়া তারা আগে কখনও দেখেননি বলেই দাবি করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই বিশাল কাঁকড়া দেখতে দিগম্বরপুর শৈলবালা মৎস্য আরতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ।
অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার মৎস্যজীবী নটো খাঁ সহকারি মৎস্যজীবীদের নিয়ে দুর্গাখালি এলাকায় আঠারো গাছি নদীতে চরঘেরায় জাল পাতেন। হঠাৎ করে জালে কিছু একটা ধরা পড়েছে বুঝতে পারেন ওই মৎস্যজীবী। এরপরেই জাল তুলতে ছুটে আসেন সকলে। নদীর পাড়ে তোলা হয় সেই জাল। চোখে পড়ে বিশাল আকৃতির সেই কাঁকড়া।
এত বড় কাঁকড়া দেখে রীতিমত চক্ষুচড়ক গাছ মৎস্যজীবীদের। তবে পরক্ষণেই আনন্দ পরিণত হয় বিশাদে। জাল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রায় ২ কেজি ওজনের ঐ বিশাল আকৃতির কাঁকড়া ঢুকে পড়ে মাটির গর্তে। আর হয়তো তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না এ কথা ভেবেই মন খারাপ হয়ে যায় মৎস্যজীবীদের। তবে তারা হাল ছাড়তে ছিলেন নারাজ।
দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার পর অবশেষে সমস্ত মৎস্যজীবীরা একত্রিত হয়ে গর্তের ভেতর থেকে কাঁকড়াটিকে বের করে আনতে সক্ষম হন। এরপরেই কাঁকড়াটিকে নিয়ে আসা হয় দিগম্বরপুর শৈলব বালা মৎস্য আড়তে। ঘটনার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই আড়তে ভিড় জমান এলাকাবাসী। যদিও এই বিশাল আকৃতির কাঁকড়ার দাম কত হবে সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক মৎস্যজীবী জানান, ‘এই বিশাল আকৃতির কাঁকড়াকে পাঠানো হচ্ছে আড়ৎদারে। এরপর সেটি বিক্রি করা হবে বাঘাযতীনে। বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত এই কাঁকড়ার দাম অনুমান করা যাচ্ছে না’। ওই মৎস্যজীবী আরও বলেন, ‘বর্ষাকালে কিংবা শীতের সময় বড় কাঁকড়া পাওয়া যায় নদীতে। যদিও এত বড় কাঁকড়া কখনই আমরা চোখে দেখিনি’।