জানেন, মাস গেলে কত আয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রাঁধুনির? টাকার অঙ্ক শুনলে ভিড়মি খাবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, মুখ্য সচিব, মুখ্য জনসংযোগকারী অফিসারেরা কর্মরত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। এগুলি ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো রাঁধুনির। জানলে হয়তো অবাক হবেন রীতিমতো মোটা টাকার মাইনে দিয়ে এই খানসামাকে রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ‘ভজহরি মান্না’ (Cook) হলেন প্রহ্লাদ রাম। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন রকম পছন্দের খাবার রান্না করেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ওই দপ্তরে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীদের জন্যও দুবেলা রান্না করেন প্রহ্লাদ। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যারা কাজ করেন তাদের জন্য দুবেলা রান্না করা হয়। আর এই রান্নার কাজের প্রধান দায়িত্ব রয়েছেন প্রহ্লাদ রাম।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রধান রান্নার দায়িত্বে থাকা প্রহ্লাদ রামের বেতন অনেক বড় সরকারি কর্মচারীদেরও লজ্জায় ফেলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে ২০১৮ সালে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, PMO এর রাঁধুনির মাসিক বেতন ১৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের খানসামা বেতন পান লেভেল ওয়ান অনুযায়ী।

প্রহ্লাদ রামের বেসিক স্যালারি ১৯ হাজার ১০০ টাকা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ব্যক্তিগত খানসামা বদ্রী মীণা। ইনি বহুদিন ধরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে। দেশ ও বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বদ্রী মীণা ভ্রমণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রান্না করেন বদ্রী। বদ্রী মীণা প্রায় ২৭ বছর আগে নরেন্দ্র মোদির বাড়িতে রান্নার কাজে নিযুক্ত হন।

97018442

গত কুড়ি-পঁচিশ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির স্বাস্থ্য অনুযায়ী তার জন্য রান্না করে আসছেন বদ্রী মীণা। স্বাস্থ্য সচেতন নরেন্দ্র মোদীর খাবার তৈরির জন্য বদ্রী মীণা নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন PMO এর পাচকের সাথেও। সূত্র অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদীর সব থেকে প্রিয় খাবার হল খিচুড়ি। সপ্তাহে তিন দিন খিচুড়ি নরেন্দ্র মোদী অবশ্যই খাবেন। এছাড়া বিভিন্ন গুজরাটি পদও তার প্রিয়।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর