বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay krishna Bhadra)। আর এই ‘কাকু’র গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। গরু ও কয়লা পাচার চক্রেও হাত রয়েছে সুজয়কৃষ্ণর। এমনটাই বিস্ফোরক দাবি ইডির (ED)।
আর এই সূত্রেই এবার ইডির হাতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধিতে নজর রাখছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইডির দাবি হেফাজতে থাকাকালীন এ বিষয়ে সুজয়কৃষ্ণকে একাধিক বার প্রশ্ন করা হলেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান ‘কাকু’ কিছুক্ষেত্রে তাদের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই আদালতে ইডি দাবি করেছে, কমপক্ষে ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনে সুজয়কৃষ্ণর যোগ রয়েছে। তার চারটি কোম্পানির হদিস মিলেছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত দুটি কোম্পানির টাকা ও সম্পত্তির লেনদেনের কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমান লেনদেনের প্রাথমিকভাবে সূত্র মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এর মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও রয়েছে। পাশাপাশি হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা এনে সাদা করা হয়েছে বলেও দাবি ইডির। এ রাজ্য ছাড়াও টাকার লেনদেন হয়েছে ভিন রাজ্য থেকেও। এর মধ্যেই রয়েছে গরু ও কয়লা পাচারের টাকাও, অনুমান ইডির।
এখনও সিবিআই কালীঘাটের কাকুকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি ঠিকই তবে সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে দুই তদন্তকারী সংস্থাই। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি করার জন্য প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবিষয়ে সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী অবশ্য বলেন, ‘কোনও নথি বা প্রমাণ ছাড়া যা খুশি তাই বললেই কি দোষী প্রমাণিত হয়ে যায়? নথি ছাড়া রাম শ্যামের দাবি বা ইডি-সিবিআইয়ের দাবির মধ্যে ফারাক নেই।’