বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। হাতে সময় ভারী অল্প। তার আগে ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে শনিবার কালীঘাটের বাসভবনে দলীয় নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলার বিধায়ক, সাংসদ, দলীয় পদাধিকারীরাও।
এদিন সভার প্রথম বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী (Subrata Baksi)। কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে নবজোয়ার যাত্রায় যে জনসমুদ্র, দিনরাত ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় থাকার যে কষ্ট, সারা বাংলা চষে ফেলে যে অভিজ্ঞতা, তার উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) প্রশংসায় মুড়িয়ে দেন তিনি।
সকলের সামনেই নেতা বলেন, “আমি এক সময়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য সভাপতি একসঙ্গে ছিলাম। আজ সময় এসেছে, আমার প্রস্তাব, অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতিও করা হোক।” নেতার প্রস্তাবে সায় দিলেন অভিষেক? একেবারেই না! বরং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত ধরে নিয়ে অভিষেক কিঞ্চিৎ হেসে বলেন, ‘‘কোনও প্রশ্নই ওঠে না, তুমিই থাকবে সভাপতি।’’
এরপর দলে সকলের প্রিয় ‘বক্সিদা’ ফের বলেন, ‘‘নেত্রী বিবেচনা করুন, ও সভাপতি হোক, আমি চেয়ারম্যান হয়ে সবরকম সাহায্য করব। তাছাড়া আমি নিয়মিত রাজ্যসভাতেও যেতে পারি না।’’ ফের বাধা দেন অভিষেক। বলেন , “এসব কথা আসছে কেন? তুমি যা আছো, তাই থাকবে।”
এরপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘বক্সীদা, এসব কথা আর শুনছি না। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্ব হয়ে গিয়েছে। আপনি পরবর্তী অ্যাকশনের কথা বলুন।’’ আর কী! নেত্রীর নির্দেশ বলে কথা। তাই সেখানেই প্রসঙ্গটির সমাপ্তি ঘটে। তবে হঠাৎ কেন পদ ছেড়ে দিতে চাইলেন ‘বক্সীদা’ সেই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
অনেকে আবার বলছেন আসলে, এদিন আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সুব্রত বক্সী (Subrata Baksi)। অভিষেকের প্রশংসা করে এদিন নেতা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী চার-পাঁচটি প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। উনি দীর্ঘায়ু হোন। কিন্তু আমরা না থাকলেও দল যোগ্য হাতে থাকবে। অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। ওকে আমি অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানাই।’’