বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রাচীনকালে আমাদের দেশের গ্রামে-গঞ্জে মানুষ তাঁদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাড়িতেই খুব যত্ন সহকারে লুকিয়ে রাখতেন। কারণ, তখনকার দিনে ব্যাঙ্কের বিষয়টি ছিল না। যার ফলে লোহার বাক্সে লুকিয়ে রাখা হত টাকা ও মূল্যবান গয়না। পাশাপাশি, কেউ কেউ আবার সেগুলিকে মাটির দেওয়ালেও জমা রাখতেন কিংবা মাটিতে পুঁতে দিতেন। এমনকি, এই সংক্রান্ত নানান কাহিনিও ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি আমরা।
ঠিক সেইরকমই এক বিষয় এবার সামনে এল উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার জুঙ্গারা গ্রাম থেকে। সেখানে একটি নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য খননকার্যের সময় বেশ কয়েক বছরের পুরোনো একটি সিন্দুকের সন্ধান পাওয়া যায়। আর তারপরেই চারিদিকে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এমনকি, আশেপাশের গ্রামের মানুষরাও তা দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পরে পুলিশের দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
এই প্রসঙ্গে আজ তকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, পুলিশ যখন ওই গ্রামে খোঁজ পাওয়া সিন্দুকের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানায়, তখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসডিএম এবং তহসিলদার সদরের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করেন। ওই দলের সামনেই সেটি খুলতে নির্দেশ দেন ডিএম।
এরপর গত ১৬ জুন আধিকারিকরা গ্রামে পৌঁছে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সিন্দুকটি খুলে দেন। তালা খোলার পর ওই সিন্দুক থেকে একজোড়া সোনার অলঙ্কার, একটি রূপোর মঙ্গলসূত্র ও কিছু কাগজপত্র বেরিয়ে আসে। এমতাবস্থায়, ওই সিন্দুকে থাকা জিনিসপত্রের একটি তালিকা তৈরি করে বাড়ির মালিকের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।
পূর্বপুরুষরা ছিলেন জমিদার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, খননকালে পাওয়া সিন্দুকটি যে পরিবার থেকে পাওয়া গিয়েছে তাঁদের পূর্বপুরুষরা পুরোনো সময়ের জমিদার ছিলেন। কয়েক বছর আগে তাঁদের পরিবার থেকেই মিরহাছির স্কুলের জন্য ১০০ বিঘা জমি দান করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ওই পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, পৈতৃক বাড়িটিও ভেঙে পড়েছে। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁরা নতুন বাড়ি বানাতে চলেছেন। আর সেইজন্যই সেখানে খননকাজ করা হচ্ছিল।