বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। সেই নিয়েই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। অন্যদিকে এই আবহেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে (West Bengal Foundation Day) সক্রিয় বিজেপি (BJP)। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজভবনে আনন্দ-আয়োজনের পর রেড রোড ধরে মিছিল বের করে গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের (BJP MLA) বিশেষ পদযাত্রা আয়োজিত হয়।
নন্দীগ্রামের বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিলে পায়ে পা মেলান বিজেপি-র অন্যান্য বিধায়ক নেতারা। উপস্থিত ছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত সহ অনেকেই। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে সোমবারই রাজ্যপালকে ফোন করেন এবং চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গভঙ্গের যন্ত্রণাময় ইতিহাস জড়িয়ে থাকা ২০ জুন দিনটিতে উদযাপন যে কাম্য নয় সেকথা জানিয়েও আপত্তি করেন মমতা।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে ধুমধামের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন হচ্ছে রাজভবনেও। রাজভবনের ভেতরে ও বাইরে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে এই আবহেই রাজ্য বিধানসভা থেকে মিছিল নিয়ে বেরোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মমতার আপত্তি নিয়ে এদিন পাল্টা তৃণমূল সুপ্রিমোকেই তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “সর্দার বল্লভভাই পচেল, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মহাত্মা গাঁধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, মা সারদা কাউকে ক্রেডিট দিতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানচন্দ্র রায়ের সৃষ্টিকেও অস্বীকার করেন স্বাভাবিক ভাবে আজকের ২০ জুন দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে থাকবে, নাকি পূর্ব পাকিস্তানে থাকবে তা যে ঠিক হয়েছিল, সেটিকেও অস্বীকার করছেন। এর মাধ্যমে রাজ্যের অস্তিত্বও অস্বীকার করছেন মমতা।”
শুভেন্দু আরও বলেন, “উনি (মমতা) আসলে বাংলাকে আলাদা দেশ মনে করেন। ক্ষমতা থাকলে আলাদা সংবিধানও বানিয়ে ফেলতেন। আগামী প্রজন্মকে তাই জানানোর দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। আমরা অকৃতজ্ঞ নই। সেই সময় বামপন্থীরাও বাংলার ভারতভুক্তির পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন। ভোট দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। ইতিহাস বিকৃত বা অপ্রাসঙ্গিক করা যায় না।”