বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আপাতত আমেরিকা সফরে গিয়েছেন। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। এর কারণ হল, আমেরিকায় রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। পাশাপাশি ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, স্পষ্টতই এই দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের ওপর ভর করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সূচনা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০ টি শীর্ষ মার্কিন কোম্পানির সিইওদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত খুব কম নেতা-ই এই সম্মান পেয়েছেন। আর এই বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের গুরুত্ব স্পষ্ট করে। এমতাবস্থায়, নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন একটি রাজকীয় হোটেলে। যেটির দৈনিক ভাড়া সম্পর্কে জানলে রীতিমতো চমকে উঠবেন। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নিউইয়র্কের ম্যাডিসন অ্যাভিনিউয়ে স্থিত The Lotte New York Palace-এ থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই হোটেলটি সেন্ট্রাল পার্ক থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট দূরে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, মোদী এর আগে দু’বার নিউইয়র্কে এসে একই হোটেলে থেকেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই পাঁচতারা হোটেলে ৭৩৩ টি গেস্ট রুম এবং স্যুট রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই হোটেলে একটি কিং সাইজ বেডের জন্য একরাতের ভাড়া হল প্রায় ৪৮,০০০ টাকা। পাশাপাশি, হোটেলের ওয়েবসাইট অনুসারে জানা গিয়েছে, রুম ভাড়া সংশ্লিষ্ট রুমের আকার এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে। এদিকে, Towers Penthouse Suite-এর এক রাতের ভাড়া প্রায় ১২.১৫ লক্ষ টাকা।
মোদীর জন্য বিরল সম্মান: উল্লেখ্য যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ২১ থেকে ২৪ জুন আমেরিকা সফর রয়েছে মোদীর। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগামী ২২ জুন মোদীকে সম্মান জানিয়ে নৈশভোজের আয়োজনও করবেন। ওই একই দিনে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন মোদী।
এমতাবস্থায়, দ্বিতীয়বারের মতো এমনটা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র কয়েকজন নেতা এই সম্মান পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলা, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইতজাক রাবিন। এর আগে, ২০১৬ সালের ৮ জুন মার্কিন পার্লামেন্টের একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।