বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার এর কোন অভাব নেই দেশে। এই কারণেই ভারত বর্তমানে ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ। তাই অনেক ক্রিকেটারই এমন আছেন যারা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কেরিয়ারের শুরুর দিকে দেশেই ক্রিকেট খেলেছিলেন, কিন্তু প্রতিযোগিতার ভয়ে পরে ভারত ছেড়ে বিদেশে চলে যান। আবার এমন অনেক ক্রিকেটারও আছেন যারা ভারতে জন্মেছেন কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে শুরুতেই অন্য দেশে চলে গেছেন যেখানে প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম।
আজ এমনই এক ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন, যার জন্ম পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। কিন্তু যতিন্দর সিং নামের এই ক্রিকেটার এখন ওমানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন। যতিন্দর সিং ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আজও টান অনুভব করেন। কিন্তু ভারত থেকে ওমানে যাওয়ার পর তিনি ভারতের হয়ে আর খেলার সুযোগ পাননি।
৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। যতিন্দর সিং-এর বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তার বাবা ১৯৭৫ সালে লুধিয়ানা থেকে ওমানে চলে যান এবং ওমান পুলিশের হয়ে ছুতোরের কাজ শুরু করেন। এর ২৮ বছর পরে নিজের গোটা পরিবারকে তিনি ওমানে নিয়ে যান। তিনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে ওমানের ভারতীয় স্কুল ক্রিকেট দলের অংশ হয়ে যান। এর পরে ২০১৫ সালে ওমানের হয়ে যতিন্দরের আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে।
এখানে বলে রাখা ভালো যে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি যতিন্দর সিং চাকরিও করেন। একবার একটি ভারতীয় সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় যতিন্দর সিং বলেন, “আমি যখন ভারতে থাকতাম, তখন রাস্তায় টেনিস বল ক্রিকেট খেলতাম। আমি সচিন ও সেওবাগের জুটিকে খুব পছন্দ করতাম। তবে এখানে আসার পর আমি নিজের জীবনে ক্রিকেটকে সিরিয়াসলি নিতে শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, “তবে এখানে কর্পোরেট পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড়রা ভারতের মতো টাকা পান না। আমি ২০১৪ সালে খিমজি ইন্ডাস্ট্রিজে চাকরির পাশাপাশি তাদের হয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করি, তারপরে আমি অনুশীলনে অংশগ্রহণ করি।” যতিন্দর সিং শিখর ধাওয়ানের মতো থাই ফাইভ সেলিব্রেশনের জন্য বিখ্যাত। ওমানের হয়ে ৪৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনি ১০৫৬ রান করেছেন।