বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া যাদের যাদের ভাইরাল করেছে তাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় নাম নিঃসন্দেহে রানু মণ্ডল (Ranu Mondal)। প্রায় চার বছর আগে নেটপাড়ায় উঠে এসেছিল তাঁর নাম। রানাঘাট রেল স্টেশনে বসে আপন মনে গান গাইতেন রানু। মলিন পোশাক, ছন্নছাড়া অবস্থা। কিন্তু কণ্ঠে অনবদ্য সুর।
এক ব্যক্তি তাঁর গানের ভিডিও করে শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। সবার ফোনে ফোনে বাজতে থাকে রানুর গলা, সবার মুখে মুখে ঘুরতে থাকে তাঁর নাম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে রানুর নাম। এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর গানের গলা যে মুম্বই পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাঁর নাম।
নামী সুরকার হিমেশ রেশমিয়ার সুরে গান গাওয়ার প্রস্তাব পান রানু। মুম্বইতে গিয়ে তারকাদের লাইফস্টাইলও পেয়েছিলেন কদিনের জন্য। হিমেশের সঙ্গে রানুর ‘তেরি মেরি’ কয়েক মাস খুব চলেছিল নেট মাধ্যমে। রমরমা বেড়েছিল রানুর। তারপর এক সময় ফিকে হতে শুরু করে তাঁর গান, খ্যাতি।
এর জন্য অনেকে রানুকেও দোষ দেন। রাতারাতি জীবন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাওয়ায় চোখে ধাঁধা লেগে গিয়েছিল তাঁর। রানুর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও এনেছিল অনেকে। অচিরেই মুম্বইয়ের পাট চোকে তাঁর। এখন আবার রানাঘাটেই ফিরে এসেছেন রানু। বিগত কয়েক বছর ধরে এক ভগ্নপ্রায় বাড়ি তাঁর বাসস্থান।
সেখানেই কোনো রকমে মাথা গুঁজে পড়ে রয়েছেন রানু। তবে তিনি যে একেবারেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছেন এমনটাও ভাবার কোনো কারণ নেই। মাঝে মধ্যেই ইউটিউবাররা গিয়ে হানা দেয় তাঁর বাড়িতে। তাঁদের আবদার রাখতে অদ্ভূত অদ্ভূত কাণ্ড করে ফের ভাইরাল হন রানু।
তবে উপার্জন সেই অর্থে আর হয় না তাঁর। কিছু কিছু ইউটিউবার খাবার এনে দেয় রানুকে। সেটাই খান তিনি। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ তুলেছিলেন রানুর মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু কোনো কিছুই হয়নি। আগামীতে রানুর বায়োপিক আসছে বলিউডে। নিজের জীবনকাহিনি বড়পর্দায় দেখতে যাবেন তিনি? উত্তর অজানা।