বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের তৈরি হচ্ছে বিরোধী জোটের সম্ভাবনা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) টক্কর দিতে এই রণনীতিই নিতে পারে বিরোধী জোট। আজ শুক্রবার সবার নজর এখন পাটনার (Patna) বিরোধী জোটের বৈঠকের দিকেই।
নীতিশ কুমারের উদ্যোগে এই বৈঠকে গতকালই হাজির হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, আজকের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে ও সীতারাম ইয়েচুরিও। তবে এই বৈঠক কতরা ফলপ্রসু হবে তা সময়ই বলবে।
তবে মমতার এই বৈঠকে নেই মায়াবতী।একদিন আগেই পাটনা গিয়ে হাজির হয়েছেন আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ, শুক্রবার এই বৈঠকের আগে অপেক্ষা এখন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের। মহড়া হিসাবে পাটনা গিয়েই লালুপ্রসাদ এবং নীতিশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে আজকের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একাংশের মতে আগে এই ধরনের বৈঠকে মমতার সঙ্গী হতেন মুকুল রায়। যদিও বর্তমানে তিনি কোন দলে আছেন সেই বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এই অবস্থায় সঙ্গী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায। অর্থাৎ মমতা একপ্রকার বুঝিয়ে দিলেন, জাতীয় ক্ষেত্রেও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকই।
জানা যাচ্ছে, নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব কয়েক মাস আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেই সময় মনতাই বিহারে বৈঠক করার পরামর্শ দেন। সেখানে মমতার ব্যাখ্যা ছিল, জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলন শুরু হয়েছিল বিহার থেকেই। তারপর তা ছড়িয়ে পড়েছিল সারা ভারতে। ফলে মোদি সরকারকে গদি থেকে সরাতে হয় তাহলে তার পরিকল্পনাটা শুরু করা উচিত বিহার থেকেই।
জানা যাচ্ছে আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রাহুল, খড়গের মতো কংগ্রেস হাই কমান্ডেরও। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে প্রদেশ কংগ্রেসকেও একটা বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ, বাম কংগ্রেস জোট করে যেভাবে তৃণমূলের উদ্দেশে একের পর এক তোপ দেগে যাচ্ছে, এই বৈঠকের পর অধীর এবং অন্য কংগ্রেস নেতারা কিছুটা হলেও শান্ত হবেন।